খুলনায় যৌতুক মামলায় সিআইডি কর্মকর্তা কারাগারে

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে মিঠুন রায়ের সঙ্গে খুলনার বাটিয়াঘাটার দেবিতলা গ্রামের তিথি বিশ্বাসের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিথি বর্তমানে খুলনার সরকারি মহিলা কলেজে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে মিঠুন রায় তিথিকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করে। বিয়ে করে খুলনা ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে তিথিকে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করেন।

একপর্যায়ে তিথি গর্ভবতী হয়ে পড়লে জোরপূর্বক গর্ভপাত করান। পরবর্তীতে মিঠুনকে তিথি তার বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে নিতে বললে তিনি দুই বিঘা জমি, ১০ ভরি স্বর্ণ ও ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। মিঠুন জানতো তিথির পরিবারের অর্থিক অবস্থা খারাপ, যার কারণে তারা যৌতুক দিতে পারবে না। যৌতুকের দাবিতে মিঠুন পরে তিথিকে নির্যাতন করা শুরু করে। পরে তিথি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাকির হোসেন জানান, ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নিয়ে মিঠুর বিরুদ্ধে সমন জারি করে। বুধবার মিঠুন রায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে মিঠুন রায়ের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।