ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ : রাজধানীর বাড্ডায় বছর পাঁচেক আগে আর্থিক টানাপোড়েনে থাকা বোনের মেয়েকে এনে বেঁচে দিয়েছিলেন বাসনা বেগম। সাজিয়েছিলেন হত্যা ও ধর্ষণের গল্প। কিন্তু সম্প্রতি সেই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা ওই তরুণী জানিয়েছে, পাঁচ বছর ধরে তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানোর তথ্য।
আর্থিক টানাপোড়েনে মেয়েকে দেন খালার কাছে দেখভালের জন্য। কয়েকদিন পর খালা ভাটারা থানায় বাদি হয়ে মামলা করেন মেয়েটি হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজির পর রাজধানীর বসুন্ধরাতে একটি মেয়ের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মামালার বাদি খালা দাবি করেন মৃত মেয়েটি তাদের। মামলা হয় হত্যা ও ধর্ষণের। কিন্তু বিধিবাম; ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যায় মেয়েটির তাদের নয়।
মামলার মোড় ঘুরতে থাকে তদন্তের ভার পায় পিবিআই। মাদারীপুর থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যা ও ধর্ষণ মামালার ভিকটিম মেয়েটিকে। পুলিশ বলছে, গত পাঁচ বছর মেয়েটির ওপর চালানো হয়েছে পাশবিক নির্যাতন।
পুলিশ বলছে, আটক হত্যা মামলার বাদি খালা বাসনা বেগম ও আটক লতা বেগম ও তার স্বামী সরাসরি এই ঘটনার সাথে জড়িত। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার লতা ও তার পরিবারের সদস্যরা বেশ কিছুদিন ধরে দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত।
ভিকটিম মেয়েটি জানায়, দীর্ঘ পাচ বছর তাকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে পতিতাবৃত্তি করানো হয়েছে। তার খালা বিষয়টি জেনেও টাকার কাছে বিক্রি করে দেয় তাকে। এতদিন পরে মেয়েকে পেয়ে আবেগ আপ্লুত মা।
এই ঘটনায় লতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।