ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ১১ আগস্ট ২০২১ : মাদক মামলার আসামি হয়ে কারাগারে। সেখানে একই মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে পরিচয়। চুক্তি হয় জামিনে বেরিয়ে আবারও একই কারবারে নামবেন তারা। জামিনের ব্যবস্থাও করে দেয় বড় মাদক কারবারিরা। ৫০ হাজার ইয়াবাসহ দুই মাদক পরিবহনকারীকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে এ তথ্য।
২০১৯ সালে ফেন্সিডিলসহ ধরা পড়ার পর কাশিমপুর কারাগারে জায়গা হয় আব্দুর রহমান সোহাগের। সেখানে ইয়াবা পরিবহনে জড়িত পিকআপ চালক রুবেলের সঙ্গে পরিচয় তার। জামিনে বেরিয়ে দুজনই মফিজ নামে এক বড় মাদক কারবারির দলে যোগ দেন তারা।
২০২০ সালে মাদক মামলায় নারায়ণগঞ্জ কারাগারে গিয়ে মফিজের বোনের জামাই কেফায়েতের সঙ্গে পরিচয় হয় মোহাম্মদ কবিরের। জামিনে ছাড়া পেয়ে সেও হাত মেলায় মফিজের নেটওয়ার্কে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, প্রায় প্রতিদিনই কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবার চালান পাঠান মফিজ। সেই চালান প্রথমে গুদামজাত করা হয় বসিলায় একটি বাসায়। ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন মফিজ নিজেই। চূড়ান্ত হলে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জে ইয়াবা সরবরাহ করেন সোহাগ ও কবির।
পুলিশ বলছে, চক্রটি থ্রিপিস বিক্রেতা সেজে ইয়াবার চালান পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে থাকে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মতিঝিল বিভাগের (সাবেক) উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা চেষ্টায় আছি যারা এর পেছনে কাজ করছে। বিশেষ করে যারা সীমান্ত এলাকায় মাদকগুলো নিয়ে আসে। এই চক্রটির সন্ধান পেয়েছি, তাদের নাম পেয়েছি, তাদের অচিরেই গ্রেপ্তার করব।
কারাগারের ভেতরে মাদকচক্র গড়ে উঠছে কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, এটার সঙ্গে যদি কারাগারের কারও সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে, মাদক রোধে এই টাস্কফোর্স কাজ করবে।
দুই মাদক পরিবহনকারীর কাছ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের পর তাদের মূল হোতা মফিজসহ চক্রে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।