পরীমনিকাণ্ড: নজরে ৫ প্রভাবশালী!

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,সোমবার, ০৯ আগস্ট ২০২১ : পুলিশ কর্মকর্তা সাকলাইনের পর পরীমনি ইস্যুতে নিত্যনতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে দেশের শোবিজ জগৎ নিয়ে। অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও অভিনয়ের চেয়ে বেপরোয়া জীবনযাপন এবং খুব অল্প সময়ে বিপুল অর্থসম্পদ অর্জনের জন্যই বেশি আলোচনায় পরীমনি। তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত।

সম্প্রতি একটি জাতীয় সংবদামাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, পরীমনি ইস্যুতে শোবিজ জগতের অনেকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে সিআইডি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এদের অনেকের নাম বলেছেন পরীমনি ও পিয়াসা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রতারণা, অনৈতিক কার্যক্রম ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মতো অপকর্মে জড়িত নানা পেশার অনেক নাম জানা গেছে। যাদের অন্তত ৫ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আসছে।


ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, পরীমনি ও পিয়াসার সঙ্গে এদের মোবাইল ফোনে কথোপকথনের রেকর্ড যেমন তদন্তকারীদের হাতে এসেছে, তেমনি রিমান্ডে থাকা পরীমনি, পিয়াসা, রাজ, মিশু হাসান ও জিসানের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন থেকেও প্রাথমিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ও ছবি পাওয়া গেছে। যাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে যাচ্ছে এদের দুজন বেসরকারি দুটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, একজন মিডিয়া হাউজের মালিক, একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী ও একজন প্রতিষ্ঠিত একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধার।

পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল-অভিনেত্রী নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায় জড়িত বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এদের মধ্যে রয়েছেন কথিত মডেল নায়লা, মৃদুলা, জনৈক শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল। এ ছাড়া ক্যাসিনো সম্রাটের বান্ধবী হিসেবে পরিচিত চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা আছেন র‌্যাবের তালিকায়।

পরীমনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেলিং দিয়ে। এরপর নাটকে অভিনয় শুরু করেন। তবে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগেই আলোচনায় আসেন বিতর্কিত এই অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর প্রথম দিকেই ২৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পরীমনি।

র‍্যাব সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, পরী সিন্ডিকেট রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পার্টির নামে সেক্স ও মাদকের আসর বসাতেন। পার্টির একপর্যায়ে তারা টার্গেট করা ব্যক্তিদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন সুন্দরী রমণীদের। এই সুন্দরীদের নিয়ে আলাদা কক্ষে একান্তে সময় কাটানোর বন্দোবস্ত থাকত। আর অতি গোপনে এসব দৃশ্য বিশেষ টেকনোলজির মাধ্যমে ধারণ করতেন পরী সিন্ডিকেটের সদস্যরা। পরবর্তীতে চলত ব্ল্যাকমেইলিং।