ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,রোববার, ২৫ জুলাই ২০২১ : প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে চালু হলো ‘বডি ওর্ন’ ক্যামেরা। এখন থেকে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কর্মকর্তার শরীরে ক্যামেরা চালু থাকবে।
এর আগে, ঢাকায় ট্রাফিক পুলিশ এ কার্যক্রম শুরু করলেও থানা পর্যায়ে দেশে প্রথমবারের মতো এ কার্যক্রম শুরু করছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
শনিবার (২৪ জুলাই) পরীক্ষামূলকভাবে মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রম শুরু করে ডবলমুরিং থানা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (পশ্চিম) উপ কমিশনার মো. আব্দুল ওয়ারীশ এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি জানান, পাইলট প্রকল্পের আওতায় আপাতত সিএমপির চার বিভাগের চার থানায় এই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এখন শুরু করা এই চার থানা হচ্ছে, ডবলমুরিং, কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ এবং পতেঙ্গা। প্রত্যেক থানাকেই ৭ টি করে ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১৬ থানায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘এসব ক্যামেরা ভ্রাম্যমাণ সিসিটিভির কাজ করবে। আমাদের চোখ এড়িয়ে গেলেও এই ক্যামেরা সবকিছু রেকর্ড করে রাখবে। এ উদ্যোগ আমাদের ডিজিটালাইজেশনের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে নিবে।’
পুলিশ জানায়, এই ক্যামেরা অডিও, ভিডিও এবং ছবি ক্যাপচার করা যায়। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো স্থানে বসেই সবকিছু তদারকি করা যাবে। ফোর জি ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে এই ক্যামেরা ডিভাইসের অডিও এবং ভিডিও পাওয়া যাবে। সাথে থাকবে স্থির চিত্র’ও। বিল্ট ইন জিপিএসের মাধ্যমে ক্যামেরা ব্যবহারকারী পুলিশ সদস্যের অবস্থান সহজে শনাক্ত করা যাবে, তেমনি এই ক্যামেরায় ধারণ করা যাবতীয় তথ্য চলে যাবে কেন্দ্রীয় সার্ভারে।
ঘটনার প্রকৃত চিত্র উদঘাটনের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের আচরণ ও গতি-বিধি নজরদারির মধ্যে আনতে উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরাও শুরু করেছেন পোশাকের সাথে বিশেষায়িত ক্যামেরার ব্যবহার।
এখন থেকে টহল, চেকপোস্ট পরিচালনা এবং অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চট্টগ্রামের ৪টি থানাকে মডেল হিসাবে পরিচালনা করা হচ্ছে।
নগরীর একটি থানা কার্যালয়ে ডিউটি শুরুর আগেই নিজেদের পোশাকে বিশেষায়িত ক্যামেরা স্থাপন করছেন পুলিশ সদস্যরা। এর মধ্যে কেউ হয়তো টহলে যাবেন, আবার কেউ যাবেন অপরাধী গ্রেপ্তারের অভিযানে। তবে এখন থেকে অন্যান্য পুলিশিং উপকরণের পাশাপাশি ক্যামেরা সংযুক্ত রাখা বাধ্যতামূলক।
প্রথম পর্যায়ে সারা দেশের তালিকাভুক্ত থানাগুলোতে ৭টি করে ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব থানাকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।