ওয়াল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ : সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রথমে ব্যাংকের ভল্ট থেকে সরিয়ে নেন টাকা। পরে এই টাকা দিয়ে খেলেন জুয়া। অভ্যন্তরীণ তদন্তে ধরা পড়ে স্বীকারোক্তি দেন ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ক্যাশ ইনচার্জ। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুলিশে দেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সাথে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গ্রেপ্তান হন শাখার অপারেশন ম্যানেজারও।
কথায় আছে, জুয়ার নেশা বড় নেশা টাকার জন্য জুয়ারির বউ বন্ধকের নজিরও রয়েছে। কিন্তু তাই বলে ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা নিয়ে জুয়া খেলা।
২০১৮ সাল থেকে ব্যাংকের ক্যাশে হাত দেয়া শুরু। সময় সুযোগ বুঝে ধীরে ধীরে সরিয়ে নেন প্রায় ৪ কোটি টাকা। ঢাকা ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিট কিংবা তদন্তে এতদিন টাকার গড়মিল ধরা না পড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১৭ জুন ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে আসে টাকা সরানোর ঘটনা। যাতে স্বীকারোক্তি রয়েছে ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হকের।
অডিট কমিটির কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেন, ভল্টে রক্ষিত ৫শ টাকার নোটের বান্ডিলের ভেতরে ১শ টাকার নোট দিয়ে বাকি নোট সরিয়ে নিতেন। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একাই এই কাজ করতেন তিনি। খরচ করতেন জুয়ার আসরে। বিষয়টি ধরা পড়ার পর আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ভল্ট থেকে টাকা উধাওয়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মামলা হয় বংশাল থানায়। এরপরই ঘটনার সাথে জড়িত ক্যাশ-ইনচার্জ রিফাতুল হক এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ম্যানেজার অপারেশন্স ইমরান আহমেদকে পুলিশে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
দুদক আইনজীবী বলছেন, সাধারণ মানুষের আমানতের নিশ্চয়তা দিতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
ঢাকা ব্যাংকের বরিশাল ও নোয়াখালী শাখায়ও অর্থ আত্মসাতের এমন ঘটনা ঘটে। যা বিচারাধীন রয়েছে।