মমতার হাতেই থাকল পশ্চিমবঙ্গ

SHARE

পশ্চিমবঙ্গে বড় জয়ের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। ছবি : সংগৃহীত

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,০৩ মে : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, তামিনাড়ু, কেরালা রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত পদুচেরির বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে। পশ্চিমবঙ্গে বড় জয়ের পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস।

সংবাদমাধ্যম ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি) বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ২৯২টি আসনের ভোটে তৃণমূল এগিয়ে দুইশর বেশি আসনে এবং বিজেপি সত্তরটির বেশি আসনে। আর বামদলীয় জোট এগিয়ে তিনটি আসনে। এর ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাচ্ছে তৃণমূল আর কোনো ধরনের ব্যাত্যয় না ঘটলে তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।

তবে নানা নাটকীয়তার পর নন্দীগ্রাম আসনে মমতা বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে চুচুড়ায় বিজেপির প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জি হেরে গেছেন। তবে বারাকপুরের ভোটে চলচ্চিত্র পরিচালক ও বিজেপি প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী রয়েছেন স্বস্তিতে। এই ভোটে প্রবীণ নেতাদের মধ্যে বিজেপির মুকুল রায় ও তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এগিয়ে রয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে এবার আট দফায় ভোট হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। জানা গেছে, গণনাকৃত ভোটের ৪৮ দশমিক তিন শতাংশ পেয়েছে তৃণমূল। অতীতে আর কোনো নির্বাচনেই এত ভোট পাওয়ার রেকর্ড নেই দলটির।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে ২১১টিতে জিতেছিল তৃণমূল। সেবারও দলটির পক্ষে পড়েছিল প্রদত্ত ভোটের ৪৪ দশমিক তিন শতাংশ ভোট। তার আগে ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৮ দশমিক নয় শতাংশ ভোট। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে দলটি পেয়েছিল যথাক্রমে প্রদত্ত ভোটের ৩৯ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ ও ৪৩ দশমিক তিন শতাংশ ভোট।

তিন দশকের বেশি সময়ের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে এক দশক আগে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় বসেছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। তখন তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মূলত বাম ও কংগ্রেস। এবারই সরাসরি বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলে আসছেন বিশ্লেষকেরা।

অথচ পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি এই রাজ্যে মাত্র তিনটি আসনে জয় পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সেই বিজেপিই ১৮টি আসন দখল করে। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে বিজেপির জনপ্রিয়তা। তৃণমূলের অনেক সংসদ সদস্য বিজেপিতে যোগ দেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়মিতই এ রাজ্যে সভা-সমাবেশ করে গেছেন। আর এর জেরেই দলটি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। যদিও সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। তবে এই নির্বাচনকে বিজেপির ‘উত্থান’ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

অন্যদিকে, আসামের বিধানসভার ১২৬টি আসনের ভোটের ফলাফলে ৭৮ আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর কংগ্রেস এগিয়ে ৪৭টি আসনে। এ ছাড়া, তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস নেতৃত্বধীন জোট ডিএমকে, কেরালায় লেফট ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট এবং পদুচেরিতে এআর কংগ্রেস রয়েছে জয়ের পথে।