ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, ০৩ মার্চ : কিশোরগঞ্জের হাওরে নৌপথে চাঁদাবাজির ঘটনা নিয়মিত। বিভিন্ন কৌশলে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে প্রতিটি নৌকা থেকে চাঁদা আদায় হচ্ছে। মাঝিদের অভিযোগ প্রভাবশালীদের সাথে জড়িত খোদ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
প্রকাশ্য চাঁদাবাজি বললে ভুল হবে না বৈকি। শিশ দিয়ে নয় শুধু ইশারাতেই চলছে দিনে দুপুরে। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, ইটনা, করিমগঞ্জ, নিকলী, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর আর ভৈরব নৌরুটে যাতায়াত করতে হলেই গুনতে হয় নির্দিষ্ট অংকের টাকা।
মাঝিরা বলছেন সুনামগঞ্জ থেকে ভৈরব ও ঢাকায় আসতে কয়েকটি পয়েন্টে সব মিলিয়ে চাঁদার হার ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। অভিযোগ নৌ পুলিশের দিকেও। অভিযোগ চাঁদা দিতে না চাইলে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। মাঝে মাঝে আটকেও রাখা হয় তাদের।
অবশ্য অভিযোগের সদুত্তর নেই নৌ-পুলিশের কাছে। চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস পুলিশ সুপারের। কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার জানান এর সাথে কোন সদস্য জড়িত থাকলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
পণ্যের যাতায়াত খরচ কমাতে নৌপথ ব্যবহার হয়। অথচ চাঁদাবাজির কারণে দাম বেড়ে যাচ্ছে এসব পণ্যের।