ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২৯ জানুয়ারি :মানব ও অর্থপাচারের দায়ে কুয়েতের জেলে থাকা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এই সাজায় বাংলাদেশে তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা, সেজন্য প্রয়োজন সাংবিধানিক ব্যাখ্যার। তবে এ বিষয়ে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি সরকার।
গেল বছর জুনে কুয়েতে গ্রেপ্তারের কয়েকদিন আগে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন তিনি। প্রায় ৮ মাস পর কুয়েতের আদালতেই দোষী সাবস্ত হলেন তিনি। প্রথম কোন বাংলাদেশি সংসদ সদস্যের বিচারের রায় হলো বিদেশের মাটিতে।
মানব ও অর্থ পাচারের দায়ে দেশটির ফৌজদারি আদালত কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে দিয়েছেন ৪ বছরের কারাদণ্ড। পাশাপাশি করেছেন ৫৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা। পাপুল ছাড়াও ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মাজেন আল জারাহকেও একই সাজা দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ র ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নৈতিক স্খলনে কমপক্ষে দু বছরের কারাদণ্ড হলে কোন ব্যক্তি সংসদ সদস্যের যোগ্যতা হারাবেন। সেক্ষেত্রে কুয়েতের আদালতে ৪ বছরের সাজা কি পাপুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে? সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, এটার জন্য প্রয়োজন সাংবিধানিক ব্যাখার।
পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তারের পর দেশে তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের অনুসন্ধানে পাপুলসহ পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এছাড়া জব্দ করা হয়েছে পাপুল পরিবারের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব। দেয়া হয়েছে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও।