ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২১ জানুয়ারি : পিকে হালদারের লুটপাটের দুইশো কোটি টাকা পাওয়া গেছে তার সহযোগী অনিন্দিতা মৃধা ও তার বাবা সুকুমার মৃধাসহ তিনজনের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে।
বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে প্রায় দশহাজার কোটি টাকা হাতিয়ে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পিকে হালদার। পলাতক পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির পাশপাশি তার সহযোগীদের চিহ্নিত করতে মাঠে নামে দুদক।চলতি মাসের ১৩ই জানুয়ারি পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করে দুদক।
বৃহস্পতিবার সকালে হালদারের আরেক সহযোগী অনিন্দিতা মৃধা ও তার বাবা সুকুমার মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের উপপরিচালক সালাউদ্দিন। জিজ্ঞাসাবাদে পিকে হালদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাৎক্ষনিক গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসনে হাওলাদার বলেন, পি কে হালদারের অনেক অবৈধ সম্পদ তার এই দুই সহযোগী দেখাশোনা করতেন। পি কে হালদার ভুয়া ঋণ দেখিয়ে অবৈধ অর্জিত প্রায় ১০০ কোটি টাকা তার মা লীলাবতী হালদারের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখেন। পরে লীলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুমার মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও অনিন্দিতা মৃধা পিকে হালদারের কাছে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং করেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তথ্য পেয়েছেন। সুকুমার মৃধার দখলে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পদ এবং তার মেয়ের দখলে প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। দুদক বলছে পিকে হালদারের মায়ের একাউন্টে রাখা ২শো কোটি টাকা থেকে সহযোগী অবন্তিকা বড়াল, অনিন্দিতা মৃধা ও তার বাবার অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এছাড়া অনিন্দিতা তার প্রতিষ্ঠানের নামে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কাগুজে প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে মোট ১৬৮ কোটি টাকা ঋনের নামে হাতিয়ে নেন। পিকে হালদারের সাথে যোগসাজশ করে এ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দুদকের কাছে তথ্য রয়েছে।গ্রেপ্তারের পর বাবা -মেয়েকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ডের অনুমতি পেয়েছে দুদক।