হোটেলে নববধূকে রেখে পালাল পুলিশ, লাশ উদ্ধার

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,০৬ জানুয়ারি ২০২১ : বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয় কুমিল্লার মেহনাজ জেরিন নিপার। ৩ জানুয়ারি গ্রামের বাড়ি থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন নিপা। চাকুরির কারণে স্বামী রুবেলের বাসস্থান অফিসের মেস হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে ওঠেন রাজধানীর উত্তর কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আবাসিক হোটেলে। আর সেই হোটেল থেকে মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বের করা হয় মেহনাজ জেরিন নিপার (২৪) মরদেহ।

নিপার স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী রুবেলই তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভেতর থেকে রুমের দরজা বন্ধ করা ছিল। গত ৩ জানুয়ারি ওই রুমটি ভাড়া নেয় নীপার স্বামী।

এ ঘটনায় স্বামী পুলিশ সদস্য জাহিদুল ইসলাম রুবেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

হোটেল সূত্র বলছে, গত ৩ জানুয়ারি তারিখে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ২ জন হোটেলের ওই রুমটি ভাড়া নেয়। এরপর স্বামী অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলে হোটেল থেকে চলে যায়। এসময় ওই তরুণী হোটেলে একাই ছিল। মঙ্গলবার সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় খবর পেয়ে পুলিশ এসে রুমের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে।

মরদেহ উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, নীপাকে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল স্বামী পুলিশ কন্সটেবল রুবেল।

মেহনাজ জেরিন নিপার বয়স ২৪। এ বছরের ১ জানুয়ারি পুলিশের বিশেষ শাখার কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম রুবেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের পরপরই গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাক্ষ্মণপাড়ার দাশিয়া গ্রাম থেকে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসেন। কিন্তু বিয়ের ঠিক ৫ দিনের মাথায় ফিরলেন লাশ হয়ে।

পুলিশ বলছে, স্বামী যেহেতু মেসে থাকেন, তাই স্ত্রী নীপাকে নিয়ে উঠেন কমলাপুরের হোটেল সিটি প্যালেস ইন্টারন্যাশনালে। কিন্তু স্ত্রীকে একা রেখে হোটেল থেকে কেন চলে যান রুবেল সে কারণই জানা যায়নি।

এ ঘটনায় রাজধানীর মতিঝিল থানায় কনস্টেবল রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই। নিপা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের স্নাতোকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মামলার বাদী আহসানুল কবির ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)কে বলেন, জাহিদুল আমার বোনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। না হলে বিয়ের ৫ দিন পার না হতেই কেন সে আত্মহত্যা করলো?