ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি,০৩ জানুয়ারি ২০২১ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন কূপ থেকে উৎপাদিত গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক রাখতে স্থাপিত হচ্ছে কম্প্রেসার প্লান্ট। এরই মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের তিন নাম্বার লোকেশনে প্লান্টের কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে পাইপ ফিটিং, ওয়েল্ডিং ও ফিটিংসের কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভবিষ্যতে উৎপাদন কমলেও প্লান্টের মাধ্যমে স্বাভাবিক রাখা যাবে গ্যাস সরবরাহ।
ষাটের দশকে শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন কূপ থেকে গ্যাসের উৎপাদন। সেই থেকেই উত্তোলন চলছে বিরামহীন। তবে উদ্বেগের বিষয়, দেশের গ্যাসক্ষেত্র গুলোর গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। দিনদিন কমছে এ সব কূপের উৎপাদন। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষের আওতাধীন গ্যাস কূপের সংখ্যা ৫২ টি। যা থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে ৯টির।
গ্যাস স্বল্পতার বিষয়টি মাথায় নিয়ে ভবিষ্যতে উৎপাদিত গ্যাসের স্বাভাবিক চাপ ধরে রাখতে স্থাপিত হচ্ছে কম্প্রেসার প্লান্ট। এরই মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ৩ নম্বর লোকেশনে প্লান্টের কাজ প্রায় শেষ। প্রায় ৯শ কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো হবে আরও ১৫টি কম্প্রেসার প্লান্ট। যার মধ্যে লোকেশন এ তে- ৭টি, লোকেশন সি তে- ৩টি এবং আরও ৬টি কম্প্রেসার প্লান্ট হবে লোকেশন ই আর ডি তে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান-জিকমের ম্যানেজার জায়েদুনন্নবী সায়মন বলেন, ভবিষ্যতে গ্যাসের উৎপাদন কমলেও প্লান্টের মাধ্যমে স্বাভাবিক রাখা যাবে গ্যাসের সরবরাহ।
তবে, এ বিষয়ে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।