ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,০১ জানুয়ারি ২০২১ : পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক ও মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী মোতালেব হোসেন। সম্পদ তার ৮৩ লাখ ১৯ হাজার টাকার। মৎস্যজীবী স্ত্রী ইসরাত জাহানের সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি টাকার বেশি। সম্পদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, চাকরি জীবনে মাত্র ৫ মাস ছাড়া পাসপোর্ট অফিস থেকে সরেননি কখনও। অভিযোগ রয়েছে তার ইশারায় বদলি হয় সবার।
দীর্ঘ ২০ বছরের চাকরি জীবনে ঢাকার বাইরে কর্মরত ছিলেন মাত্র ৫ মাস। ২০০০ সালের ৩০ জানুয়ারি সাটলিপিকার পদে পাসপোর্ট অফিসে চাকরিজীবনের শুরু। আয়কর নথি বলছে, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তার সম্পদের পরিধি। নিজের নামে পটুয়াখালীতে একের পর এক জমি কিনে সেগুলো দেখান পৈত্রিক সম্পদ হিসেবে।
২০১৫ সালে মোতালেব হোসেন মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী হওয়ার পর সম্পদের পাহাড় গড়া শুরু হয়। নিজের অঢেল সম্পদের বৈধতা দিতে স্ত্রীকে মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে আয়করে উল্লেখ করে ২০১৫ সালে স্ত্রীর নামে কেনেন বরিশালের রুপাতলীতে ২৯ লাখ টাকার ও গাজীপুরে প্রায় সাড়ে ৩২ লাখ টাকার জমি কেনেন। ২০১৬ সালে স্ত্রীর নামে মিরপুরে ১১তলা ভবনে ৬৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট দেখান। সরেজমিনে ফ্ল্যাটটি মোতালেব হোসেনের বলেই জানান ভবনের কেয়ারটেকার।
দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানও বলছে, মোতালেব-ইসরাত দম্পতির মোট সম্পদ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোতালেবের সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকারই কোনো বৈধ উৎস নেই।
এত সম্পদের উৎস কোথায় জানতে চাইলে মহাপরিচালকের অনুপস্থিতিতে তার রুমে ঢুকে পড়েন মোতালেব।
এদিকে দুদকের সাবেক মহাপরিচালক মুয়িদুল ইসলাম বলছেন, একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন থাকা দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অন্যতম কারণ।
দুদক সূত্র জানায়, শিগগিরই মোতালেব ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে।