ইরানকে ধৈর্য ধরতে বললেন সাবেক সিআইএ প্রধান

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,২৮ নভেম্বর : আমেরিকার দায়িত্ব যোগ্য ব্যক্তিদের কাছে প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত ইরানকে অপেক্ষা করার আহ্বান জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক পরিচালক জন ব্রেনন। ইরানের শীর্ষ পরমাণুবিজ্ঞানী মুহসেন ফাখরিজাদে হত্যাকে ‘জঘন্যতম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ অভিহিত করে বিবৃতি দিয়েছেন সংস্থাটির সাবেক এ পরিচালক। 
তেহরান যখন এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে দাবি করে বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তখনই এমন মন্তব্য করলেন তিনি। একই সঙ্গে একে বেপারোয়া হত্যাকাণ্ড অ্যাখা দিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান। শুক্রবার ২৭ নভেম্বরের হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইরানের একজন শীর্ষ বিজ্ঞানীকে হত্যার জেরে ওই অঞ্চলে মারাত্মক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। নতুন করে আঞ্চলিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।’ তবে হামলাকারীদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তেহরান থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্বে আবসার্দ শহরের ভয়াবহ হামলার শিকার হন মহসেন। প্রথমে তার গাড়িতে বোমা হামলা, এরপর মেশিনগান দিয়ে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে হামলায় মুহসেনের দেহরক্ষী এবং পরিবারের সদস্যরাও গুরুতর আহত হন।

পশ্চিমাদের নজরে ফখরিজাদেহ ছিলেন ইরানের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির মূল পরিকল্পনাকারী। তাকে ‘ইরানের বোমার জনক’ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশনস বিভাগ জানায়, ফাখরিজাদে মন্ত্রণালয়ের অরগানাইজেশন অব ডিফেন্স ইনোভেশন অ্যান্ড রিচার্সের (এসপিএনপি) প্রধান ছিলেন।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যায় কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিসহ দেশটির নীতিনির্ধারকরা। কঠোর বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন খামেনির সামরিক উপদেষ্টাও।

এমন উত্তেজনা পরিস্থিতিতে আগুনে ঘি ঢাললেন সিআইএর এ সাবেক পরিচালক। বলেন, ‘এই মুহূর্তে ইরান অবশ্যই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবে। যতক্ষণ না আমেরিকার বর্তমান নেতৃত্বের পরিবর্তন না হয়। শত্রুদের জবাব দেওয়ার আগে, যোগ্য লোক যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বে গ্রহণের আগপর্যন্ত তেহরানকে ধৈর্য ধরতে হবে।’

তিনি মনে করে দিয়ে বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারিতে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ নিতে যাচ্ছেন। এতে বৈদেশিক নীতি পরিবর্তনের আভাস দেন। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনেক নীতির কঠোর সমালোচনাও করেন তিনি।