রাজধানীতে নিয়োগহীন ডোম দিয়ে চলে ময়নাতদন্তের কাজ (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২১ নভেম্বর : ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে এনাটমি বিভাগ থেকে একজনকে ধারে এনে চলছে মর্গের কাজ। বাকিরা নিয়োগহীন। ঢাকা মেডিকেলে পারিবারিকভাবে ডোমের কাজ করেন দুই ভাই। বাকি চারজন আছেন বেসরকারিভাবে। প্রায় একই অবস্থা সলিমুল্লাহ মেডিকেলের। কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়োগ বন্ধ এবং সম্মান-সুবিধা না থাকায় শিক্ষিতরা আসতে চান না এ পেশায়।

অমানবিক, ভীতিকর এবং অমানুষিক। দিনের পর দিন মৃত কিশোরী তরুনীদের সাথে যৌনসম্ভোগ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সহকারি ডোম মুন্না ভক্তকে গ্রেফতারের পর শব্দই হারিয়ে গেছে বিশ্লেষনের।

২০১৭ সালের অক্টোবের যাত্রা শুরু করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গটি। যার কারণে অনেকটাই চাপ কমে যায় ঢাকা মেডিকেলের মর্গে। কাগজে কলমে এখনো কোন ডোম নেই এখানে, এনাটমি বিভাগ থেকে প্রেষনে আসা যতন কুমার সরকার সামলাচ্ছেন দায়িত্ব।

প্রতিদিন গড়ে ৬/৭টি মরদেহ আসে এখানে। নিজের স্ত্রীর বড়ভাই জীবন ও ভাগ্নে মুন্নাকে মর্গে কাজে লাগান যতন। রয়েছে আরো ২জন সহকারি। সবই অনানুষ্ঠিকভাবে। কিন্তু বিকৃত যৌনাচারে ভাগ্নের সম্পৃক্ততা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে তাকেও।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ডোম হিসেবে আছেন দুই ভাই। বাবার পথ ধরে এসেছেন এ পেশায়। সহকারি হিসেবে রয়েছে আরো চারজন। কিন্তু একেবারেই হাতে কলমে শিখেছেন লাশকাটা। প্রশ্ন, সোহরাওয়ার্দীর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না তো?

ময়নাতদন্ত হয় ঢাকার তিন হাসপাতালে। যার আরেকটি সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ। সেখানেও ডোম শ্যামলের সাথে রয়েছেন একজন নারী সহকারি। সব মিলিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে ৭/৮টা মৃতদেহ আসা বড় হাসপাতালে ডোম আছেন মাত্র ৪ জন।

রাতে কোথাও ময়নাতদন্ত হয় না। ব্রিটিশ এ পদ্ধতি থেকে চাইলেও বেরিয়ে আসতে পারছে না হাসপাতালগুলো। আধুনিক সরঞ্জামাদি, লোকবল এবং প্রশিক্ষণের অভাবকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।