ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২১ নভেম্বর : কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী থেকে স্বর্ণ চোরাকারবারি ও ভূমিদস্যু হয়ে ওঠে গোল্ডেন মনির। রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় মনিরের বাসায় রাতভর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযানে এককোটি নয় লাখ টাকা, ৫টি বিলাসবহুল গাড়ি, স্বর্ণালঙ্কার, অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়। গোল্ডেন মনির একটি রাজনৈতিক দলের অর্থ যোগান দিতো বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে গোল্ডেন মনিরের বাসা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় র্যাব। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু নেতৃত্বে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই অভিযান চলে। ছয় তলা ভবনটি ঘিরে এসময় প্রচুর সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ভবনের বিভিন্ন ফ্লোরে তল্লাশি চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র জব্দ করে র্যাব।
অবৈধভাবে আমদানী করা দুটি বিলাসবহুল গাড়ি পাওয়া যায়। যার মূল্য তিন কোটি টাকার ওপরে। এছাড়া শোরুমে আরো তিনটি গাড়ি পাওয়া যায়।
নব্বই দশকে গাউছিয়া মার্কেটের কাপড়ের দোকানের বিক্রয়কর্মী স্বর্ণ চোরকারবারী, হুণ্ডি ও ভূমি ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাড্ডা ও কেরানীগঞ্জে দুশো’রও প্লটের হদিস পেয়েছে র্যাব।
র্যাব জানায়, গোল্ডেন মনিরের আরেকটি পরিচয় আছে, সেটা হচ্ছে ভূমিদুস্য। রাউজের অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে যোগসাজসে বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে। ঢাকার শহরের ডিআইটি প্রজেক্ট, এর পাশাপাশি বাড্ডা নিকুঞ্জ উত্তরা এবং কেরানীগঞ্জে ২০০ বেশি প্লট রয়েছে। ইতোমধ্যে ৩০টির কথা তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন।
এছাড়া, প্রাথমিকভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা মিলেছে গোল্ডেন মনিরের, জানায় র্যাব।
তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে। কর ফাঁকির বিষয়টির সঙ্গে এনবিআর ও বিআরটিএ’র লোকজন জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।