পাঁচ বিয়ের সবই প্রথম, বিয়েপাগল লন্ডনি গ্রেফতার

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,১৬ অক্টোবর : স্থায়ীভাবে থাকেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। তথ্য গোপন করে দেশে-বিদেশে পরপর পাঁচটি বিয়ে করেছেন তিনি। কাবিননামায় তার সবকটিকেই উল্লেখ করেছেন ‘প্রথম বিয়ে’ হিসেবে।

বিয়ে করতে গিয়ে এমন অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া প্রবাসী মকবুল হোসেনকে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আদালত এক বছরের কারাদ- দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর সুনামগঞ্জের  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই রায় দেন। এ সময় আসামিকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত মকবুল হোসেন জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবনগর গ্রামের হাজী উলফত উল্যার ছেলে। এলাকায় ইতিমধ্যে ‘বিয়ে পাগলা লন্ডনি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রতারণা ও যৌতুকের জন্য মারপিটের অভিযোগে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মকবুলের স্ত্রী আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহার ও বাদীর ভাষ্যমতে, ২০০৮ সালের ৭ নভেম্বর সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকায় মামলার বাদীকে বিয়ে করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী মকবুল হোসেন। কিছুদিন সংসার করার পর যুক্তরাজ্য চলে যান স্বামী। পরবর্তীতে স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এদিকে, কাবিননামায় ‘প্রথম বিয়ে’ উল্লেখ করলেও পরে বাদী জানতে পারেন মকবুল বাংলাদেশে আরও দুটি এবং লন্ডনে এক পাকিস্তানি ও এক বাংলাদেশি নারীকে বিয়ে করেছেন। পরবর্তীতে দেশে এসে স্ত্রীর কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন মকবুল। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে পিত্রালয়ে এসে স্ত্রীকে মারপিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে মামলা করেন মকবুলের স্ত্রী। মামলা দায়েরের পৌনে তিন বছরের মাথায় আদালত প্রবাসী মকবুলকে এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। এদিকে, মকবুলের বিরুদ্ধে দেশে অবস্থানরত অন্য দুজন স্ত্রীও প্রতারণা ও যৌতুকের অভিযোগে মামলা করেছিলেন বলে জানা গেছে। সুনামগঞ্জ জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিয়া বেগম জানান, আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারায় অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি মকবুল হোসেনকে এক বছরের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদানের আদেশ দিয়েছে।

অ্যাডভোকেট মতিয়া বেগমের পাশাপাশি বাদীর পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু ও অ্যাডভোকেট মনির হোসেন।