ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,৩০ সেপ্টেম্বর : একমাস টানা হাসপাতালে চিকিৎসার পরে দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে বৃহস্পতিবার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, তার অবস্থা এখন অনেক ভালো। তিনি এখন একা একাই চলাফেরা করতে পারছেন। তেমন রিস্ক ফ্যাক্টর নেই।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন জানান, ওয়াহিদা খানমের ব্রেনের একটি অংশ পুরো প্যারালাইজড ছিল, সেটার এখন যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। ফলে তিনি এখন অন্য কারোর সাপোর্ট ছাড়া একা একাই হাঁটতে পারছেন। হালকা একটু সমস্যা যা রয়েছে আশা করা যায় পরবর্তীতে ফিজিওথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা নিলে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবেন।
অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন বলেন, কোনো রকমের জড়তা ছাড়া আগে থেকেই তিনি কথাবার্তা বলতে পারতেন। এখন তেমন কোনো রিস্ক ফ্যাক্টর নেই। ফলোআপ চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি নেওয়াই এখন প্রধান কাজ। সেটা উনারা চাইলে সিআরপিতে নিতে পারেন, চাইলে বাসাতেই থাকতে পারেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে নিজ বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালানো হয়। গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে পরে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে মস্তিষ্কে জটিল অপারেশন পরিচালনা করেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন ও তার টিম।
চিকিৎসকরা জানান, তার মাথায় ৯টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। আঘাতগুলো হ্যামার (হাতুড়ি) জাতীয় কিছু দিয়ে হয়েছে বলে মনে করছিলেন তারা। মাথার খুলি ভেঙে মস্তিষ্কের ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল।