ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২১ আগষ্ট : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ। এরই মধ্যে হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে মামলার যাবতীয় নথি। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত শুনানির আবেদন করা হবে। তবে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার কার্যক্রম শেষ করতে চান না আসামিপক্ষ।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা যে হাওয়া ভবনে হয় তা স্পষ্ট করে গেছেন জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান। জবানবন্দিতে বোমা কিভাবে আনা হবে, হামলার পর জঙ্গিরা কিভাবে স্থান ত্যাগ করবেন, এমনকি আলামত নষ্টের সব পথ তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর ও আলি আহসান মুজাহিদরা বাতলে দেন বলেও আদালতে জানায় মুফতি হান্নান। আদালত রায়ে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তৎকালীন বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাই ছিল এ হামলার মূল লক্ষ্য।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় পলাতক তারেক রহমানসহ আরও ১৯ জনকে। স্বল্প মেয়াদে কারাদণ্ড হয় আরও ১১ জনের। এরইমধ্যে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আপিল শুনানির জন্য নথিপত্র এসে পৌঁছেছে উচ্চ আদালতে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছেন, দ্রুত আপিল শুনানি করাতে চান তারা। আইনি লড়াই করা হবে আসামিদের সাজা বহালের।
এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম বলেন, তৎকালীন সরকার এটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছিল। চেষ্টা করবো যতদ্রুত সম্ভব মামলার কার্যক্রম শেষ করা যায়।
আসামিদের উচ্চ আদালতে দৌড়ঝাপ, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারে জজ মিয়া নাটকের কারণে নিম্ন আদালতে বিচার শেষ হতে সময় লেগেছে এক যুগ। আপিল শুনানির জন্য যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে রাষ্ট্রপক্ষ তখনও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি না করার দাবি জানান আসামিপক্ষ। আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের যুক্তি, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যদি মামলাটি শেষ করতে যাওয়া হয় তাহলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে।
আলোচিত এ মামলায় তারেক রহমানসহ ১৬ আসামিই দেশর বাইরে পলাতক রয়েছেন। অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে মুফতি হান্নানসহ ৩ জনের। জামিনে রয়েছেন কয়েকজন আসামি।