ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি,১৭ আগষ্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মীরজাফরের মতোই খুনি মোশতাককে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে ক্ষমতা হাতে নিয়েছিল জিয়াউর রহমান। খুনিদের বিচার বন্ধ করা, তাদের ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া পাঠানোসহ সব কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে, জিয়াউর রহমান এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিল।
রোববার (১৬ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ অনেকেই এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের কথা বলেন। কিন্তু সবাই ভুলে গেছেন খালেদা জিয়া ২০০১ সালে সরকারে এসে মানুষ হত্যা শুরু করে। আবার সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটিও দিয়েছিলেন। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের যাকে যেখানে পেয়েছে নিয়ে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যার বিচার হবে না বলেও ইনডেমনিটিও খালেদা জিয়া দিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, তার (খালেদা জিয়া) স্বামী (জিয়াউর রহমান) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। আর তিনি এসে নির্বিচারে মানুষ হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়ে গেছেন। যুবলীগের মাসুমকে যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছিল, যার ফলে সে মৃত্যুবরণ করেছিল। এরকম শত শত লোককে হত্যা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেই আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিটিকে ভিসা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার আইন করে বন্ধ রেখেছে এবং পাকিস্তানি মদদদাতা আলবদর, রাজাকার, আল-শামসদের মন্ত্রী-উপদেষ্টা করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।’
স্মৃতিচারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, রাষ্ট্রপতির মেয়ে হয়েও তাদের নাম-পরিচয় গোপন করে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। খুনিরা বিভিন্ন দূতাবাসে আরাম-আয়েশে জীবন কাটিয়েছে। খুনিদের বিচার না করার ইনডেমনিটি দিয়েছিল জিয়াউর রহমান, আর সন্ত্রাসীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিল তার স্ত্রী খালেদা জিয়া।
করোনাভাইরাস মহামারিতে দলের নেতাকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের কাছে ছুটে গেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক বাহিনী যেমন একযোগে কাজ করেছে; তেমনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ কৃষকলীগ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।