সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের পাটকেলঘাটায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার আবু সাঈদ নিহত ও তার তিন সহযোগী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। থানার কাপাসডাঙ্গা এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে যাত্রীবাহী পরিবহনে ডাকাতির চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি দেশীয় রিভলবার, দুইটি বন্দুকের কার্তুজ, চারটি বন্দুকের গুলির খোসা, দুটি বড় ধাঁরালো দা ও চারটি লোহার রডসহ জেলা ডাকাত দলের আরও চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন কাপাসডাঙ্গা গ্রামের রাকিব অটো রাইস মিল সংলগ্ন সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের উপর এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত ডাকাত সর্দার যশোরের কেশবপুর উপজেলার আওয়ালগাতি গ্রামের মৃত. এলাহী বক্স মোড়লের ছেলে। গুলিবিদ্ধ ডাকাতরা হলেন, খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী গ্রামের ফজলুল হক তরফদারের ছেলে আরিফুজ্জামান (২০), ঘুগরাকাটি গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে তরিকুল ইসলাম গাজী (২১) ও পটুয়াখালী জেলার সুপখালী গ্রামের মৃত. ওয়াজেদ খানের ছেলে সুবেল খান (২২)। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে আটক ডাকাতরা হলেন, জেলার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা আচিমতলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবুল কাসেম (৩০), তৈলকুপি গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে সুমন ইসলাম (২৮), সেনপুর গ্রামের আবু বক্কর সানার ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৬) ও বান্দরবান জেলার লামা থানার লাহিনঝিরি গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (১৮)।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা (এসআই) কামাল হোসেন জানান, রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির সংবাদ পেয়ে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় একদল ডাকাত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফারণ ঘটায়। ডাকাতদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ১০/১৫ মিনিট বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে ডাকাতদল অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ গুলিবিদ্ধ চারজনসহ আটজনকে আটক করে। পরে গুলিবিদ্ধদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাকাত আবু সাঈদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহত ডাকাত সর্দার আবু সাঈদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার বিভিন্ন থানায় খুন ও ডাকাতিসহ ১১টি মামলা রয়েছে।