ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ষ্টাফ রিপোর্টার,২৪ জুলাই : করোনা চিকিৎসা ও পরীক্ষা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠার পর আরও কিছু হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। নমুনা সংগ্রহ, পরীক্ষা না করে করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, বিভিন্ন স্থানে শাখা খুলে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নানা নয়ছয়সহ তারা তৈরি করেছে প্রতারণার জাল।
এসব হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা নিজেদের ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে দাবি করে অধিক মুনাফার জন্য মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছে বলে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানতে পেরেছেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)কে বলেন, প্রতারকরা সুযোগ নিয়ে থাকে মানুষের অসহায়ত্বের সময়। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতালের মালিক ও কর্তৃপক্ষ প্রতারণার জাল তৈরি করে। তারা করোনা টেস্টের নামে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। অনেকে নিজেদের ক্লিন ইমেজের দাবি করলেও তাদের বিরুদ্ধে নানা প্রতরণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা টেস্টের রিপোর্টের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল করোনা টেস্ট বা নমুনা সংগ্রহে সরকারের অনুমোদন নেয়। রিজেন্ট হাসপাতাল, জেকেজি হেলথ কেয়ার এবং সাহাবুদ্দিন হাসপাতালসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন নেয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাহেদকে। একই অভিযোগে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী ও সাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়সাল আল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মূলত অধিক লাভের আশায় তারা এ ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্ত চলছে।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)কে বলেন, তারা শুধু প্রতারণা করেনি, করোনা চিকিৎসার নামে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাদের বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা নিশ্চিত করতে হবে।