ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ষ্টাফ রিপোর্টার,১৮ জুলাই : রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব হিসাবে ৬ কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ঋণ খেলাপি হওয়ার তথ্য মিলেছে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউ-প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, ‘সাহেদ সম্পর্কে এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। সব ব্যাংকের তথ্য এলে প্রকৃত চিত্র জানা যাবে।’
আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান আরও বলেন, ‘নিজ নামে হিসাব থাকলে শনাক্ত করা সহজ। কিন্তু বেনামে থাকা হিসাবের তথ্য বের করা কঠিন। তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।’
বিএফআইইউ-দুদক সূত্রে জানা গেছে, সাহেদের খেলাপি হওয়া ৬ কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে এনআরবি ব্যাংকের ঋণ ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এছাড়া রয়েছে, ক্রেডিট কার্ডের ৪ লাখ ৭৭ হাজার। সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা; পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমর্স) ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, পূবালী ব্যাংকের ২০ লাখ টাকা, ইউসিবিএলের ২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১ লাখ টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১ লাখ টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ৪৪ হাজার টাকা ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ২৪ হাজার টাকা।
এদিকে, প্রিমিয়ার ব্যাংকে রিজেন্ট কেসিএস, রিজেন্ট হাসপাতাল, অলবার্ট গ্লোবাল লিমিটেড, রিজেন্ট আর্কিটেক্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, মো. সাহেদ, মোহাম্মদ সাহেদ নামে ৮ হিসাবের বিপরীতে বড় অঙ্কের ঋণ চেয়েছিলেন সাহেদ। ব্যাংকটি অনুমোদন করেনি। তবে এই ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ডে ৮০ হাজার টাকা তুলে আর পরিশোধ করেননি সাহেদ। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এসব টাকা আদায়ে সাহেদের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারসহ একাধিক মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে সাহেদকে বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরা থেকে গ্রপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এর আগে ৯ জুলাই সাহেদ, তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরে এই তালিকায় এনবিআরও দুদকও যোগ দেয়।