ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ষ্টাফ রিপোর্টার,২৭ জুন : পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘পুলিশের কোনো সদস্য ড্রাগ খাবে না, ড্রাগের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত থাকবে না। পুলিশের কেউ যদি ড্রাগ নেয়, পয়সা নেয় বা ব্যবসা করে- তার জন্য শ্রীঘর নির্ধারিত। পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য অবৈধ অর্থ নেবে না। জিরো করাপশন হবে আমাদের লক্ষ্য।’
শনিবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আঞ্চলিক পুলিশ লাইন্সে ২০০ শয্যাবিশিষ্ট ফোর্স ব্যারাক উদ্বোধন শেষে তিনি এভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থানের কথা জানান।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি ক্যান্সার আক্রান্ত হলে তার আক্রান্ত অংশ কেটে অপসারণ করা হয়। পুলিশের কেউ যদি ড্রাগের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে নির্দয়ভাবে তাকেও বাহিনী থেকে অপসারণ করা হবে।’
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত আইজিপি ড. মইনুর রহমান চৌধুরী ও আবুল খায়ের গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু সাঈদ চৌধুরী। ঢাকার বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, ‘উন্নত দেশের পুলিশ হতে হলে পুলিশের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। বিট পুলিশিং জোরদার করতে হবে, পুলিশকে মাদকমুক্ত হতে হবে, মানুষের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেওয়া যাবে না। মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, মানবিক আচরণ করতে হবে।’
জনগণের সেবায় নিয়োজিত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
‘প্যানডেমিক পুলিশিং’ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, ‘ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তাদের দেশের প্যানডেমিক পুলিশিং গাইডলাইন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গাইডলাইন সংগ্রহ করে বাংলাদেশ পুলিশের উপযোগী ‘প্যানডেমিক পুলিশিং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি)’ তৈরি করা হয়েছে। এখন আমাদের একজন কনস্টেবলও জানেন কীভাবে প্যানডেমিক পুলিশিং করতে হয়।’
ড. বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, ‘করোনা পরীক্ষার জন্য চার সপ্তাহের কম সময়ে পিসিআর মেশিন স্থাপন করা যায় না। সেখানে ১২ দিনে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় হাসপাতালগুলোও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এর ফলে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং মৃত্যুর হার কমছে। করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩ ভাগ। তবে পুলিশে তা দশমিক ৫ ভাগ। করোনা সংক্রমণ কীভাবে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল পরিদর্শন করে চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে সেরা বলে আখ্যা দিয়েছেন। চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলও এ হাসপাতালের চিকিৎসা প্রটোকল ও ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছে।’