ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি,১৩ জুন : ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মোবাইল চুরির অভিযোগে দুই শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম্য মাতব্বর। নির্যাতনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা প্রশাসনের নজরে আসে।
নির্যাতনের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম গুড ও মোতালেব আলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার এক শিশুর মা শরিফা খাতুন। শনিবার প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে শরিফা নামে এক গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয় একই গ্রামের মোতালেব আলী। ওই গৃহবধূ এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২২ মে মোবাইল চুরির কথিত অভিযোগে তার নাবালক ছেলে সুমন (১৩) ও ভাতিজা কমিরুল (১৬) কে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। এ সময় শরিফা খাতুন বাধা দিলে তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।
এ ব্যাপারে সুমনের মা শরিফা খাতুন বাদী হয়ে ৫ জুন পীরগঞ্জ থানায় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম গুড ও মোতালেব আলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই ইউপি সদস্য ও মোতালেবসহ আসামিরা চেষ্টা করলেও মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। এতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শনিবার জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিনুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম, ইউএনও রেজাউল করিম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু তাহের মো. আব্দুল্লাহ্, ওসি প্রদীপ কুমার রায় নির্যাতিতদের বাড়িতে যান এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতার আনা হবে বলে ভিকটিমের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন।