কারাগারে নূর হোসেনকে দুদকের নোটিশ

SHARE

সম্পদের হিসাব চেয়ে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে 4কারাগারে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের জন্য আজ মঙ্গলবার দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠি কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নূর হোসেনের কাছে পাঠানো হয়। এদিকে নূর হোসেনের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দিয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান বলেন, সাত খুনের পর পরই নূর হোসেনের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে। পলাতক থাকায় এতদিন তাকে নোটিশ দেয়া হয়নি। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদ করাও সম্ভব হয়নি। এ কারণে অনুসন্ধান কাজে অনেকটা স্থবিরতা বিরাজ করছিল।
দুদক সূত্র জানায়, নূর হোসেনের সম্পদের বিবরণী দুদক সচিবের কাছে পাঠাতে হবে। নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব দিতে হবে। তা না হলে দুদক আইনের ২৬ (২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সম্পদের বিবরণী দিতে নূর হোসেনকে স্বশরীরে হাজির হতে হবে না। তিনি তার আইনজীবী বা প্রতিনিধির মাধ্যমে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে পারবেন। গত বছরের ২৯ মে নূর হোসেনের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার নামে-বেনামে প্রায় ৮ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পায় দুদক। আয়কর ফাইল অনুসারে নূর হোসেনের সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়েরের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনটি এখনও অনুমোদন করেনি কমিশন।
সূত্র আরও জানায়, ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে জীবন শুরু করা নূর হোসেন ১৯৯২ সালে যোগ দেন বিএনপিতে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ইউনিয়ন কাঁচপুর শাখার সভাপতি হন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা হয়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশও পাঠানো হয়। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের পর তিনি এলাকায় ফেরেন। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। প্রসঙ্গত সম্প্রতি নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর কমিশন বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে।