ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,৩০ মে : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাস্তায় চলাচল করা প্রতিটি বাসে যাত্রী থাকবে আসন সংখ্যার অর্ধেক। সেজন্য বাস মালিকদের সম্ভাব্য লোকসানের কথা বিবেচনা করে ভাড়া ৮০ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণ কমিটি।
শনিবার (৩০ মে) সকালে ভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান ইউছুব আলী মোল্লা জানান, প্রতি বাসে ৫০ শতাংশ সিট খালি থাকার কারণে ভাড়া সমন্বয় করতেই এ নতুন ভাড়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, যেহেতু অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে, সেক্ষেত্রে বাস মালিকরা লোকসানে পড়বে। আমরা আজকে বিআরটিএ’র গণপরিবহন ভাড়া নির্ধারণ কমিটির সবার উপস্থিতিতে ৮০ শতাংশ ভাড়া নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। অর্থাৎ ৫০ ভাগ যাত্রীর কাছ থেকে ৮০ ভাগ ভাড়া নেওয়া হবে।
ইউছুব আলী মোল্লা বলেন, ৪০ সিটের বাসে বাসে ২০ জন যাত্রী থাকলে খালি সিটের ভাড়া যাত্রীদেরেই দিতে হবে। আর সেই হিসেবে ভাড়া ৮০ শতাংশ করা হয়েছে। আর এ বৃদ্ধি ভাড়া করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি বিবেচনায় বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এটা সব যাত্রী ও মালিকদের মেনে নিতে হবে।
এদিকে শনিবার সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পরিবহন মালিক এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। সড়ক পরিবহনের সবাই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের সম্মতি দিয়েছেন। আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই। সামান্যতম উপেক্ষা ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই যে সব শর্ত বিআরটিএ তথা মন্ত্রণালয় থেকে আরোপ করা হচ্ছে, সেসব শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য আমি যাত্রী সাধারণ, মালিক ও শ্রমিকদের অনুরোধ জানাই।
বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কালাম বলেন, আমরা আজ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া আদায় করার। তবে এ ভাড়া শুধুমাত্র করোনাকালীন। করোনাকাল শেষ হয়ে গেলে এ ভাড়া কার্যকর থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের পরিবহনের চালক ও স্টাফদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেবো। আর যাত্রীরা মাস্ক নিয়ে না এলে বাস মালিক কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করবে না।
তিনি বলেন, সরকার যে সব স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলেছেন আমরা তা সব কিছুই মেনে চলবো। গাড়ি প্রতিনিয়ত জীবাণুনাশক দ্বারা স্প্রে করা হবে। সিটে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হবে। যাত্রীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন কিনা সেটাও দেখা হবে।