রিকশাওয়ালার ফোনে বাসা থেকে বের হয়ে খুন হন প্রকৌশলী, মাইক্রোবাসে থাকা ৪ জন ছিল পিপিই পরিহিত

SHARE

প্রকৌশলী দেলোয়ার

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,গাজীপুর প্রতিনিধি,১৯ মে : রিকশাওয়ালার ফোনে বাসা থেকে ডেকে নেওয়া হয় প্রকৌশলী দেলোয়ারকে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের স্টাফ পরিচয়ে দেলোয়ারকে বলা হয় পূর্বনির্ধারিত প্রাণ আরএফএলের গাড়িতে সমস্যা হওয়ায় মাইক্রোবাসে করেই তাদের অফিসে যেতে হবে। ওই রিকশাওয়ালাসহ মোট চারজনকে এরই মধ্যে আটক করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। বাকিরা হলেন, নিহতের সহকর্মী দুই প্রকৌশলী এবং মাইক্রোবাস চালক। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কেউ এ বিষয়টি স্বীকার না করলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে, টেন্ডার ও কাজের বিল সংক্রান্ত বিষয়াদির জের ধরেই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ হিসেবে অফার করা হয়েছিল দেলোয়ার হোসেনকে। বিনিময়ে বিল পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করা হচ্ছিল। তবে নিম্নমানের কাজ করার কারণে বিলগুলো আটকে ছিল। অন্যদিকে সকালে যে মাইক্রোবাসটি এসেছিল তাতে চালকসহ ছিল চারজন। সবাই আপাদমস্তক পিপিই পরিধান করেছিল। ওই দিন যে দুজন সহকারী প্রকৌশলীর যাওয়ার কথা ছিল তারা যাননি। খুনিরা নিজেদের মোবাইল ফোনে চার্জ না থাকার কথা বলে সেখানে থাকা একজন রিকশাচালকের মোবাইল ফোন দিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের লোক পরিচয়ে নিচে আসতে বলে। সকাল সাড়ে ৯টায় গাড়িতে ওঠার পর সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে গাড়ির ভিতরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনাটি ঘটানো হয়। এরপর লাশ ফেলে দেওয়া হয় ঝোপের ভিতর।

নিহত প্রকৌশলীর বড় ভাই নূর নবী দীপ্তি জানান, ঘটনার দিন দুপুর বারোটার দিকে আরএফএল কোম্পানির একটি গাড়িতে করে তাকে মিরপুরের বাসা থেকে গাজীপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ওই দিন তার সঙ্গে গাজীপুরে কর্মরত দুই সহকারী প্রকৌশলীর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ৯টার দিকে একটি গাড়ি এসে তাকে মোবাইল ফোনে জরুরি কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি জানান, রবিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সরকার তাদের বাসায় এসেছিলেন। তিনি পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলেছেন।

তিন ছেলের লেখাপড়া ও পরিবারটির থাকার ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে গেছেন তিনি।

এ ব্যাপারে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল সারওয়ার- বিন-কাশেম বলেন, ‘সম্ভাব্য সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। আশা করছি শিগগিরই এই রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

তুরাগ থানার ওসি নুরুল মোত্তাকিন বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ বিষয়টি নিয়ে অনেকগুলো সংস্থা কাজ করছে। আমরাও আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে রহস্যভেদ করার চেষ্টা করছি।’