ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,এম এ কাশেম ভূঁইয়া,তিতাস থেকে কুমিল্লা : কুমিল্লার তিতাসে বয়স্কভদের সরকারী ভাতায় ভাগ বসিয়ে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতিকের মনোনীত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. সালাহ উদ্দিন আহমদে’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের ভূক্তভোগিরা। ভূক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৪মে সোমবার এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা বেগম। জানা যায়, ৭নং নারান্দিয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৬৭২জন বয়স্কভাতার কার্ডধারী সুবিধাভোগি রয়েছেন। এরমধ্যে ৫টি ওয়ার্ডে ৩২৮জন ভাতাভোগির মধ্যে খলিলাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ হাজার টাকা করে প্রদান করেন
ব্যাংকের লোকজন। সেখান থেকে টাকা নিয়ে বের হওয়ার সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মোবারক হোসেন (মোবা) চেয়ারম্যানের নাম বলে ৫শ’ টাকা করে প্রায় ১লাখ ৬৪ হাজার টাকা আত্মসাত করেন। ভাতাভোগি মনু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা না দিলে যদি কার্ড বাতিল করে দেয়, এই ভয়ে টাকা দিয়েছি। একই অভিযোগ করেন কার্ডধারী রানু বেগম, তোতা মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, হরিপদ, মিলন দাসসহ অন্য সুবিধাভোগীরা। তারা আরো বলেন, ‘দেশো ভাইরাস আইছে, আমগোরে কেউ
কেউ বাড়ীতে চাল, ডাল দিয়া গেছে। আর সরকার আমগরে টাকা দেয়, এখান থেকেও চেয়ারম্যানের নামে ৫শ’ কইরা টাকা রাইখা দিছে।’ ভাতাভোগিদের এমন অভিযোগের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠে। এলাকাবাসী জানায়, চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জাড়িয়ে পড়েন। তার এসব অপকর্মের ঘটনায় পূর্বের ইউএনও মামলাও করেছিলেন। যা এখনো আদালতে বিচারধীন রয়েছে। অনেকেই এই চেয়ারম্যানের ভয়ে এলাকায় মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোবাইল কোন সাংবাদিককে বক্তব্য দিতে রাজি হননি তবে সাক্ষাতে তিনি বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন এবং কয়েকজন মেম্বারও জড়িত রয়েছে বলে জানান। একাধিক মেম্বারের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, চেয়ারম্যানের একান্ত সহকারীর মাধ্যমে ৫শ’ করে টাকা রেখে দিয়েছে। ভাতার টাকা কবে কোথায় প্রদান করবে সে বিষয়ে আমাদের কোন মেম্বারকে জানানোও হয়নি। উপজেলা নির্বহিী কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান,
বয়স্ক ভাতার টাকা থেকে নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ৫শ’ টাকা করে উৎকোচ নিয়েছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।