ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,১৬ এপ্রিল : নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হিসেবে শুরু হয়েছিল লকডাউন। তাতে জীবন রক্ষা পেলেও মানুষের জীবিকা গেছে আটকে। তাই পরিস্থিতি বুঝে ধীরে ধীরে অবরুদ্ধ অবস্থা শিথিল করছে নানা দেশ।
সবার আগে লকডাউনে যাওয়া চীনের উহান শহরের পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তুলে নেওয়া হয়েছে লকডাউন। মহামারীতে বিপর্যস্ত ইউরোপের দেশ ইতালি ও স্পেন মাস গড়ানোর পর লকডাউন শিথিল করেছে। সেই পথে হাঁটছে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড আর জার্মানি।
আড়াই মাস লকডাউন ছিল চীনের উহানসহ হুবেই প্রদেশ। স্থানীয় সংক্রমণ শূন্যের কোটায় চলে যাওয়ার পর গেল ২৮শে মার্চ লোকজনের চলাচলে বিধি-নিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। ফলে এখন আবার আগের মতো আবারো মেট্রোতে যাতায়াত করতে পারছেন বেশিরভাগ উহানবাসী, অন্য প্রদেশে যেতেও এখন আর বাধা নেই।
চীনের পর করোনাভাইরাসের তাণ্ডব সামলাচ্ছে ইউরোপের দুই দেশ ইতালি আর স্পেন। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় অল্প দিনেই চীনকে ছাড়িয়ে যায় এই দুই দেশ। মৃত্যুর হার কমে আসায় এক মাসের বেশি সময় পর লকডাউন শিথিল করেছে স্পেন। খুলে দেয়া হয়েছে রাস্তাঘাট, শিল্প কারখানাগুলো। তবে দোকানপাট, বার, রেস্তোরাঁসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রেখেছে স্পেন।
পাঁচ সপ্তাহ পর লকডাউন শিথিল করেছে ইতালি। খুলছে বই, মনোহারী ও শিশুদের জামা-কাপড়ের দোকান। কম্পিউটার সরঞ্জাম ও কাগজের দোকানও খুলে দিয়েছে প্রশাসন। তবে যেসব শহরে করোনা পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয় সেগুলোতে জারি রাখা হয়েছে লকডাউন।
আবার দেশটির উত্তরাঞ্চলের মহামারী-কেন্দ্র বলে চিহ্নিত লোমবার্দির মত বেশ কিছু শহরে বিধি-নিষেধ সামান্য শিথিল করা হয়েছে।
অস্ট্রিয়ায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মানার শর্তে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। খুলেছে ছোট ছোট দোকানপাট। মে মাসের শুরুতে বড় দোকান, শপিং সেন্টার, রূপচর্চাকেন্দ্র আর মাঝামাঝিতে হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দেয়ার চিন্তা করছে অস্ট্রিয়ান সরকার। ইতালিকে অনুসরণ করে এক মাসের বেশি সময় লকডাউন ছিলো দেশটি।
শিশুদের জন্য স্কুল খুলে দিতে যাচ্ছে ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্ক। আগামী সপ্তাহে লকডাউন তুলে দিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড আর শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশি জার্মানি। প্রাইমারি স্কুলগুলো খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মান সরকার। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধান বহাল থাকছে ৩রা মে পর্যন্ত।
তবে করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্স হেটেছে উলটো পথে। লকডাউনের মেয়াদ আরও চার সপ্তাহ বাড়িয়ে ১১ই মে পর্যন্ত করেছে ফরাসী সরকার। লকডাউন ৩রা মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে ভারত। তবে ২০শে এপ্রিলের পর কিছু কিছু বিষয়ে শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।