ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,১১ এপ্রিল : সব ছেড়ে থাকা যায়! কিন্তু মা’কে ছেড়ে ১৫ মিনিটও কল্পনা করা যায় না! ১৫ দিন তো দূরের কথা। প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনার কামড়ে স্তব্ধ গোটা দুনিয়া। সেই ভাইরাসের চোখরাঙানি সহ্য করেই যুদ্ধজয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন বিশ্বব্যাপী ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ভারতেও একই অবস্থা। করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করতে রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন নানান প্রান্তের নার্স থেকে শুরু করে ডাক্তাররা। আর এই সেবার জন্য ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে নার্স, ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। এমন সময় ভাইরাল হয়েছে এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা। নার্স মা’কে যেতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। সেই সময়েই বাবার স্কুটারে চেপে অঝোর কান্না করছেন ৩ বছরের ছোট্ট মেয়ে। দাবি, মায়ের কাছে যাব!
উত্তর কর্ণাটকের বেলাগাভি ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স-এর এক নার্স কিছু দিন ধরে COVID-19 ওয়ার্ডে কাজ করে যাচ্ছেন। এবার সেই নার্সকে ১৫ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলো।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মায়ের কাছে যাবে বলে কেঁদেই চলেছে তিন বছরের ছোট্ট মেয়ে। হাসপাতালের এক্কেবারে গেটের মুখেই দাঁড়িয়ে আছেন ওই নার্স। সামাজিক দূরত্ব মেনে স্কুটিতে রয়েছেন তার স্বামী। আর তাদের সন্তান ওই স্কুটির সিটে বসে মায়ের কাছে যাব বলে কেঁদেই চলেছে।
মুখে মাস্ক ঢাকা ঠিকই। তবুও যেন কান্না চেপে রাখতে পারলেন না নার্স মা সুগন্ধা। তিনিও যে মেয়ের কান্না দেখে কেঁদে ফেলেছেন, ভিডিওতে তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। ২৯ সেকেন্ডের ছোট্ট ভিডিওটি মুর্হূতেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওটি টুইট করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পাও। মুখ্যমন্ত্রীর সেই টুইটে রয়েছে একটি অডিয়ো ক্লিপও, যেখানে ওই নার্স সুগন্ধা দেবীর সঙ্গে তিনি নিজে কথা বলেছেন।
“আপনি খুবই কঠোর পরিশ্রম করছেন। এমনকী আপনার সন্তানকেও কাছে আসতে দিচ্ছেন না। টিভিতে দেখলাম। ধৈর্য্য ধরুন। ভবিষ্যতে আপনার কাছে অনেক ভালো সুযোগ আসবে। সেটা আপনার জন্য আমিই নিশ্চিত করবো। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন। আর আশা করব আপনার এই কঠোর পরিশ্রম যেন আপনাকে ভালো রাখে”, নার্স সুগন্ধাকে ঠিক এই কথাই ফোনে বলেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা।-এই সময়