ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, “দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুধু একাই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করে না বা করতে পারে না। এতে সম্পুরক ভুমিকা হিসেবে সরকার, প্রশাসন, জাতীয় সংসদ ও বিভিন্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।
বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাগ্রত বিবেক, দুর্জয় তারুণ্য-দুর্নীতি রুখবেই’ -এ স্লোগানে মানববন্ধনটির আয়োজন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
নেতৃত্ব পর্যায়ের কোন্দল বা মত পার্থক্য থেকে দূরে থাকতে দুদককে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দুদক কর্মীদের মধ্যে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে অপসারণ করে নেতৃত্ব পর্যায় থেকে শুরু করে কর্মী পর্যায়ে ব্যাপক সংস্কার দরকার। সেটি করতে পারলে দুদকের ওপর যে দায়িত্ব দেয়া আছে সেটি পালন করা সম্ভব হবে এবং দুর্নীতি বাস্তবেই যে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ সেটিও প্রতিষ্ঠা করার মত পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।”
তিনি আরো বলেন, আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে দুদকের মত প্রতিষ্ঠানের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ থাকবে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক চাপ বা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হস্তক্ষেপ থাকে। এটার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যে আইনি ইখতিয়ার রয়েছে তা দিয়ে কমিশন আরো অনেক ভুমিকা পালন করতে পারে এবং সক্রিয় হতে পারে।
সরকারের পক্ষ থেকে ৯ ডিসেম্বরকে `আর্ন্তজাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস` পালন ও উদযাপনের উদ্যোগ নেয়ার জোড়ালো দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গৃহিত হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা সার্বিকভাবে রাষ্ট্রকাঠামোতে সরকার এবং সরকার পরিচালিত বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধের আইনি বা প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি আগের তুলনায় অনেক সুদৃঢ় হয়েছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আগের মত দুর্নীতির ধারণাসূচকে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করে না।
তিনি আরো বলেন, তার থেকে সরে এসে আমরা অগ্রগতি লাভ করেছি এবং যদিও আমাদের আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। মধ্যম পর্যায়ের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করার মত অবস্থানে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানের পরেই আমাদের অবস্থান।