সিপিএমকে ভোট মানেই তৃণমূলকে ভোট : বিজেপি

SHARE

পশ্চিমবঙ্গে ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে এবার গুছিয়ে আসরে নামছে 2ভারতীয় জনতা পার্টি। এ বিষয়ে নানা কর্মসূচি আগামী মাস থেকেই শুরু হয়ে যাবে। সোমবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গের যুগ্ম-ইন চার্জ সিদ্ধার্থনাথ সিং।
গত সোমবার সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, ‘‘বাংলায় শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী সিপিএমের মধ্যে অলিখিত জোট হয়ে গেছে। ২টি দলই অসহিষ্ণুতা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণের জন্য একই পন্থা নিয়েছে।’’ বাংলা বিজয়ের উদ্দেশ্যে তাই বিজেপির স্লোগান, ‘‘সিপিএমকে ভোট মানেই তৃণমূলকে ভোট”। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগামী মাস থেকেই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবে। এ মাসের ৩০ তারিখ কলকাতায় অমিত শাহের সভা হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত রাখা হয়েছে৷ ডিসেম্বরেই কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গে দু’টি সভা করবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। লাগাম ছাড়া হিংসা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে ডিসেম্বরের সাত থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ‘জেল ভরো’ কর্মসূচির মাধ্যমে আইন অমান্য আন্দোলন করবে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব কি অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে দেওয়া হবে? এ ব্যাপারে সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেছেন, ‘‘রূপা গঙ্গোপাধ্যায় দলের গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী। তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’ গত বছর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তাঁকে মেয়র পদ প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু, কলকাতা পুর এলাকার বাসিন্দা না হওয়ার কারণে পুর ভোটে লড়াই করা হয়ে ওঠেনি রূপার। তবে, পশ্চিমবঙ্গে বিজপির মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে কিছু বলেননি সিদ্ধার্থনাথবাবু। দিল্লির বিজেপি সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে জেতার থেকেও নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়ানোকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে দিল্লির নেতারা। কারণ, বাংলায় সংগঠন চাঙ্গা হয়ে গেলে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও বেশি সংখ্যায় সাংসদ পাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দু’টি লোকসভা আসন আছে পদ্ম ফুলের দখলে। আগামী জানুয়ারিতে এ রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১২ই জানুয়ারি কলকাতার ময়দানে সভা করবেন তিনি। বিজেপির আশা ২৩ শে জানুয়ারি নেতাজির ফাইল প্রকাশিত হয়ে গেলে একটি বড় বিপ্লব ঘটবে বাংলা সহ গোটা ভারতে। যা কংগ্রেসকে কোণঠাসা করে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে সাহায্য করবে।