ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,বরিশাল প্রতিনিধি ,২০ ফেব্রুয়ারি : পুলিশের এএসপি পরিচয়ে ফেসবুকে যোগাযোগের সূত্র ধরে সিলেট থেকে এক তরুণীকে বরিশালের আবাসিক হোটেলে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বরিশালের বিমান বন্দর থানায় মামলা করেছে নির্যাতিতা ওই তরুণী।পুলিশ বলছে, অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে নেয়া হচ্ছে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা। তবে ফেসবুকে পরিচয় কিংবা সম্পর্কের ক্ষেত্রে তরুণ-তরুণীদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার বলে মনে করেন পুলিশ কমিশনার।
নির্যাতিতা তরুণী জানান, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকের মাধ্যমে জনৈক শামসুল হক রাসেল পুলিশের এএসপি পরিচয় দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করে। এর সূত্র ধরে প্রায়ই ফেসবুকে এবং মুঠোফোনে কথাবার্তা চলে তাদের। এর এক পর্যায়ে ৮ মাসের ব্যবধানে ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাসে ওই তরুণীকে সিলেট থেকে বিয়ের প্রলোভনে বরিশালে নিয়ে আসে ওই ব্যক্তি। এরপর নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার আবাসিক হোটেল শরীফে রেখে তার সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ করা হয়। এভাবে একাধিকবার বরিশালে যাতায়াতের পর ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি রাসেলকে জানালে সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এ অবস্থায় ওই তরুণী রাসেলকে খুঁজে বের করতে গত ২৭ জানুয়ারি বরিশালের পুলিশ কমিশনারের কাছে যায় এবং রাসেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে এ ঘটনায় গত ২৮ জানুয়ারি নগরীর বিমান বন্দর থানায় মামলা রুজু হয়।
পুলিশ তরুণীকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে সেভ হোমে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় প্রতারককে খুঁজে বের করে তার গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন ওই তরুণী। অপরদিকে পুলিশ বলছে, অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওই তরুণী নিজের ভুল বুঝতে পেরে পরিবারের কাছে ফিরতে চায়।