ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,পটুয়াখালি প্রতিনিধি,১৭ ফেব্রুয়ারি: এখান থেকে দীর্ঘ দেড় যুগ আগের আগের কথা। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মেয়েকে বিয়ে দেন বকুলী রানী। তবে মেয়ের কোনো খোঁজ-খবর না পেয়ে তাকে খুঁজতে ভারতে যান। ১৮ বছর আগে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাড়ি থেকে বের হয়ে এভাবেই নিখোঁজ হন চার সন্তানের জননী বকুলী রানী। অবশেষে খোঁজ মিলেছে এই বৃদ্ধার। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যের মধ্যে ফিরেছে উচ্ছ্বাস।
গত দু’দিন আগে গত শুক্রবার হঠাৎ করেই রাস্তার পাশে বকুলী রানীকে দেখতে পেয়ে নাতি রিপন চন্দ্র হাওলাদার। বাবার মুখে বর্ণনা শুনে দাদিকে চিনতে পারে সে। এতেই অবসান হয় ১৮ বছর ধরে মাকে খুঁজে ফেরার অপেক্ষা। তবে বকুলী রানী কবে-কীভাবে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন তা কেউই বলতে পারেনি।
অবশ্য দুদিন আগের পরিবারের কাছে ফিরলেও গত চার বছর ধরে পটুয়াখালীতেই বাস করছেন বকুলী রানী। জানা গেছে, চার বছর আগে পটুয়াখালীর শহরের তিতাস সিনেমা এলাকায় ওই বৃদ্ধাকে মানসিক ভারসাম্যহীনভাবে রাস্তায় ঘুরতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলরের সহায়তায় একটি খুপড়ি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন স্থানীয় রেস্তোরাঁ মালিক লাইজু বেগম।
বকুলী রানীর ছেলে ঠাকুর চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমার মার ডান হাতের একটা আঙ্গুল বাকা সেটা দেখেই আমার ছেলে চিনতে পেরেছে।
চার বছর ধরে ওই অসহায় মাকে দেখাশুনা করার পর পরিবারের কাছে তুলে দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেস্তোরাঁ মালিক লাইজু বেগমসহ স্থানীয়রা। লাইজু বেগম বলেন, ওনার আপনজনের কাছে ফিরে যেতে পারছে এজন্য আমি খুশি।