মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিলের চূড়ান্ত রায় ৬ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এর আগে সকালে রাষ্ট্রপক্ষের দেওয়া যুক্তিখণ্ডন শুরু করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। পরে রাষ্ট্রপক্ষের পাল্টা যুক্তি উপস্থাপনে আপিলে যুক্ত খণ্ডন শেষ হয়। এর পর বেঞ্চ থেকে এ রায় ঘোষণার জন্য ৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে নিজামীর পক্ষে যুক্তি খণ্ডন করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালতে নিজামীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এস এম শাজাহান, শিশির মনির ও নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর, ১ ও ২ ডিসেম্বর তিন দিন নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবীরা।
গত ১৭, ১৮ ও ২৩ নভেম্বর নিজামীর আপিল শুনানিতে পেপারবুকের কিছু অংশ পাঠ করেন নিজামীর আইনজীবী এস এম শাহজাহান। গত ৯ সেপ্টেম্বর নিজামীর আপিল শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের রায়ের অংশ পাঠ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে নিজামীর পক্ষে ১ নম্বর অভিযোগের তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি আদালতে পড়ে শোনান অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন।
২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মতিউর রহমান নিজামীকে ফাঁসির দণ্ড দেন। রায়ে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে বুদ্ধিজীবী হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধে নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ৬ হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন নিজামী। মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে এ আপিল করা হয়।