বাংলা প্রবাদে গৌরি সেন খুব পরিচিত। কথায় কথায় আমরা প্রায়ই বলে উঠি ‘টাকা যা লাগে, দেবে গৌরী সেন’। অনেকেরই হয়তো জানা নেই এই গৌরী সেন কোনো কল্পনার নাম নয়। তিনি বাস্তবেরই মানুষ ছিলেন।
ধারনা করা হয় সপ্তদশ বা অষ্টাদশ শতাব্দীতে দানবীর জমিদার হিসেবে সুনাম ছড়িয়েছিলো তার। কেউ অর্থ কষ্টে পড়ে তার দুয়ারে গেলে তিনি সাহায্য করতেন। বহু লোককে তিনি বিনাশর্তে ঋণমুক্ত করেছেন পশ্চিম বাংলা কলকাতায় এমন কাহিনি প্রচলিত। এই বিশাল মনের মানুষটির পুরো নাম গৌরীকান্ত সেন।
সেই বিখ্যাত চরিত্রের বাড়িতে হাজির হলো দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘হঠাৎ দেখা’র টিম। ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন ওপারের রেশমী মিত্র ও এপারের শাহাদাৎ হোসেন বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ জানান, ‘ছবির গল্পের জন্যই গৌরি সেনের বাড়িটি প্রয়োজন ছিলো আমাদের। এখানে বাংলাদেশের মনিরা ইউসুফ মেমী, শঙ্কর চক্রবর্তীসহ আরো অনেকেই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতা অবলম্বনে বাংলাদেশের ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও কলকাতার রেশমী পিকচার্সের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে চলচ্চিত্রটি। এর প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন ও দেবশ্রী রায়।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ৫ নভেম্বর থেকে প্রথম এই ছবির শুটিং শুরু হয়। সেখানে টানা দেড় সপ্তাহ দৃশ্যধারণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পর্বের শুটিং শেষ হয়েছে।
আগামী ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবির জয়ন্তীতে দুই বাংলায় একসঙ্গে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে ছবিটির। এর আগে জুলাই মাসে ‘হঠাৎ দেখা’র গানের রেকর্ডিং হয়েছে কলকাতায়।