আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ইতিমধ্যে বিএনপির অনেক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে প্রার্থীতা ফিরিয়ে আনতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আলােচনা করতে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে বিএনপি প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে।
সোমবার দুপুরে পৌরসভা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত দলের সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঠুনকো অভিযোগে বিএনপির অনকে প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করলে ছোট ছোট অভিযোগ গুলো আমলে না নিয়ে প্রার্থীতা বহাল রাখতে পারতেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রশাসন যদি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে তাহলে অনেক কিছুই সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হয় না।
এ পর্যন্ত বিএনপির কতজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার ১০ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সোমবার যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তা সন্ধ্যা নাগাদ জানা যাবে।
এদিকে ২৩৪ পৌরসভায় অনুষ্ঠেয় এ ভোটে মেয়র পদে কোন দলের কতজন প্রার্থী বাদ পড়েছেন তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি নির্বাচন কমিশন।
তবে জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে, এ পর্যন্ত বিএনপির ১৫ জন এবং দলটির বিদ্রোহী ৪৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মনোনয়ন চূড়ান্তভাবে বাতিল হলে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত দলের সহ দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকটি জায়গায় বিকল্প প্রার্থী রয়েছে। তবে এ বিষয়ে যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান ভালো বলতে পারবেন।
এ বিয়ষে মোহাম্মদ শাহজাহানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। মনোনয়ন দিতে গিয়ে শাহজাহানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক কেলঙ্কারির অভিযোগের পর থেকেই মূলত মোবাইল ফোন রিসিভ করা বন্ধ রেখেছেন নির্বাচনে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা।