বিমানের ককপিটে ২ নারী কেবিন ক্রুকে কুপ্রস্তাব সিনিয়র পাইলটের

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,২০ নভেম্বর : দুজন নারী কেবিন ক্রুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আবুধাবিগামী একটি উড়োজাহাজের ককপিটে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। দুই নারী কেবিন ক্রু বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মোকাব্বির হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বিমানের সিইও মোকাব্বির হোসেন গণমাধ্যকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত করা ঠিক হবে না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই এখনো দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের পাওয়া সাপেক্ষে তদন্ত কমিটি  দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেবে।

গত ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম হয়ে আবুধাবিগামী বিজি-১২৭ ফ্লাইটের ককপিটে ছিলেন ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ ও ক্যাপ্টেন ইশাক। তখন এ ঘটনা ঘটে। বিমান সূত্র জানায়, অভিযোগকারী দুই কেবিন ক্রু তদন্ত কমিটির কাছে গত রবিবার লিখিত বক্তব্য জমা দেন। এরপর তাদের দেখাদেখি বেশ কয়েকজন কেবিন ক্রু তদন্ত টিমের কাছে বক্তব্য দিয়েছেন, যারা অতীতে ক্যাপ্টেন ইশরাতের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া অভিযোগকারী দুই কেবিন ক্রুর একজনের স্বামীও বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী দুই কেবিন ক্রু বলেছেন, উড়ন্ত উড়োজাহাজে ককপিটে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দেন ইশরাত। এমনকি মাতাল অবস্থায় উত্ত্যক্ত করেন তিনি। শারীরিকভাবেও যৌন হয়রানির চেষ্টা চালান। শুধু হোটেলে তার রুমে থাকার প্রস্তাবই নয়, বিভিন্ন সময় সুযোগ বুঝে অশ্লীল আচরণও করতেন ইশরাত।

ফ্লাইটের লগ বুকে চিফ পার্চার লগ বুকে লিখেছেন, দুজন কেবিন ক্রু আমাকে ফ্লাইটে জানিয়েছে, ক্যাপ্টেন ইশরাত তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও অশালীন কথাবার্তা বলেছেন। ওদের প্রচণ্ড মন খারাপ ছিল এবং কেঁদেছে।

ফিরতি ফ্লাইটের সময় গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিরতিকালে হোটেলে ওই ক্রুদের পাশাপাশি ক্যাপ্টেন ইশরাত কক্ষ বুকিং নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। এ সময় চট্টগ্রামে ওই দুজন কেবিন ক্রু হোটেলে নিজেদের রক্ষা করতে তাদের স্বামীদের খবর দেন। ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ তার নির্ধারিত ১৪ তলার কক্ষ পরিবর্তন করে ৯ তলায় অবস্থানরত অভিযোগকারী কেবিন ক্রুদের পাশের ৯০১ নম্বর কক্ষে চলে আসেন। যদিও সে সময় ওই কেবিন ক্রুদের স্বামীদের হস্তুক্ষেপে কিছুটা নিবৃত হন তিনি। ক্যাপ্টেন ইশরাত দুজন ক্রুকে  তার প্রস্তাবে রাজি না হলে দায়িত্ব পালন করতে দেবেন না বলেও হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন ইশরাত অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১২ সালে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সদস্যপদ হারান।