মাদক চোরাচালান ও চোরাকারবারিদের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোনো সদস্যের সম্পর্ককে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স দেখানোর চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
তিনি বলেন, বিজিবির কোনো সদস্য যদি মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকে কিংবা চোরাকারবারিদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকা ও চোরাকারবারিদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার দায়ে শতাধিক বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চাকুরিচ্যূত করা হয়েছে।
বিজিবির নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক শুধু সীমান্ত দিয়েই আসছে না, আকাশ ও নৌপথ দিয়েও প্রচুর মাদক ঢুকছে দেশে।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ৫ লাখ ৩২ হাজার ১ শ’ ৪১ বোতল ফেন্সিডিল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশকালে উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৪ সালে তা কমেছে। ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬২ বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৫ সালে উদ্ধার করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫টি বোতল ফেন্সিডিল।
গত তিন বছরে ইয়াবার চোরাচালান প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে। বিজিবি গত ৩ বছরে প্রায় ৮৩ লাখ পিস ইয়াবা, হিরোইন ৫৯ কেজি, বিদেশি মদ ৭ লক্ষ, ১ লক্ষ বিয়ার ক্যান ও দেশি মদ ২৪ হাজার লিটার, গাজা ২০ হাজার কেজি এবং নেশা জাতীয় ইনজেকশন ২ লাখ পিস জব্দ করেছে বিজিবি।