দুদকের মামলায় খালেদ ও জি কে শামীম ৭ দিনের রিমান্ডে

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,২৭ অক্টোবর : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও ঠিকাদার জি কে শামীমকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আল মামুন শুনানি শেষে এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে দুর্নীতি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে ২৩ অক্টোবর ঢাকা মহানগর আদালতে তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে আগামী ২৭ অক্টোবর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া ২২ অক্টোবর তাদের দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত তাদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য একই দিন ধার্য করেন।জি কে শামীমের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ও খালেদের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।এর আগে ২১ অক্টোবর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।অন্যদিকে, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধেও ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার মামলা করেছে দুদক।গত ১৮ সেপেটম্বর ঢাকার ক্লাবপাড়ায় অভিযান শুরুর প্রথমদিনেই গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে ধরা হয়। তার বাসা থেকে পাওয়া যায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র। একই সঙ্গে অভিযান চলে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে। সেখানে পাওয়া যায় মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন; সেই সঙ্গে ২৪ লাখ টাকা।ওই ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে খালেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় গুলশান থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা।অন্যদিকে জি কে শামীমকে গ্রেফতার করা হয় ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকতনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখান থেকে নগদ প্রায় দুই কোটি টাকা, পৌনে দুইশ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। তখন শামীমের সঙ্গে তার সাত দেহরক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়।শামীমের বিরুদ্ধেও মাদক, মুদ্রা পাচার ও অস্ত্র আইনে তিনটি মামলা হয়েছে।