ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,শিবগঞ্জ প্রতিনিধি,০৩ অক্টোবর : বয়স্ক ও বিধবাভাতা দেয়ার নাম করে অসহায় নারীদের কাছে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে এক দল বিক্ষুব্ধ নারীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার।
বুধবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার গড়মহাস্থান গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী নুরজাহান বেগম, হাবিবর রহমানের স্ত্রী ছালেহা বেগম, মিলন রহমানের স্ত্রী সেলিনা আক্তারসহ ১৫ জন নারী অভিযোগ করেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার সম্প্রতি গড়মহাস্থান গ্রামে গিয়ে মাটি কাটার কাজ, বয়স্ক, বিধবাভাতার কার্ড ও মহিলা অধিদপ্তরের সেলাই প্রশিক্ষণের কাজ দেয়ার নামে ১৫-২০ জন নারীর কাছ থেকে ৭-৮ হাজার করে টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তাদেরকে কাজ ও কার্ডের ব্যবস্থা করে না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ভুক্তভোগী নারীরা।
বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী নারীরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের গেটের সামনে গিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তারের কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চান।
ভাইস চেয়ারম্যান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নারীরা ভাইস চেয়ারম্যানকে গণপিটুনি দেন। রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
তবে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাহিমা আক্তার বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের লেলিয়ে দেয়া কিছু নারী আমাকে মারপিট করে আহত করেছে। বর্তমানে আমি বগুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমাকে সামাজিকভাবে অপমান করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। মাটি কাটার কাজ, বিধবা ও বয়স্কভাতার কার্ড করে দেয়া ও সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলে সাধারণ নারীদের কাছ থেকে ৭-৮ হাজার করে টাকা ঘুষ নিয়ে কার্ড করে দেননি। সেই কারণে বিক্ষুব্ধ নারীরা টাকা ফেরত চেয়ে না পেয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য সঠিক তদন্তের দাবি জানাই আমি।