ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,রাজশাহী প্রতিনিধি,০২ অক্টোবর : রাজশাহীর শাহমখদুম থানার সামনে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া কলেজছাত্রী লিজা রহমান (২০) ঢামেকের বার্ন ইউনিটিতে মারা গেছেন।আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, ‘বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় তার মৃত্যু হয়। লিজার শরীরের ৬৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।’শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) পাবিবারিক কলহের জেরে রাজশাহীর শাহমখদুম থানায় স্বামীর নামে অভিযোগ করতে গিয়ে লিজা রহমান নামে এক কলেজছাত্রী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শাহমখদুম থানা থেকে ১০০ গজ দূরে এ ঘটনা ঘটে।শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি থানায় অভিযোগ করতে আসেনি, ভিকটিম সেন্টারে অভিযোগ করতে গিয়ে নাম লিখিয়ে চলে যান।লিজার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী। তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে। তিনি রাজশাহী সিটি কলেজের ছাত্র। তারা পবার নতুনপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর লিজার শ্বশুর-শাশুড়ি তার স্বামীকে বাড়ি নিয়ে যায়। এ সময় লিজা মামলা করতে থানায় যায়। সেখানে তাদের সমঝোতা করতে বলা হয়। পরে ওসি তাকে ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে অভিযোগ করতে বলেন। সেখানে গিয়ে তিনি নাম ঠিকানা বলার পর মামলা করবে কিনা জানতে চাইলে কিছু না বলে বেরিয়ে যান। পরে কেরোসিন কিনে নিজের গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর অড়াইটার দিকে লিজা তার গায়ে আগুন দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে।রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, শ্বাসনালীসহ তার শরীরের প্রায় ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।