জঙ্গি আস্তানায় বোমা তৈরির ল্যাব-বিস্ফোরক : মনিরুল ইসলাম

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি,২৩ সেপ্টেম্বর : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সরঞ্জামের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির সহকারী কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন তিনি।এরপর সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ সব কথা জানান মনিরুল ইসলাম।

মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে আটক ফরিদ উদ্দিন রুমি, জামাল উদ্দিন রফিক ও জান্নাতুল ফুয়ারা অনু জেএমবির সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বসতবাড়ি থেকে আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একই এলাকায় তাদের আরেকটি পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়িতে গোপনে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। পাশাপাশি বাড়িটিতে বোমা তৈরির ল্যাব আছে এবং ওইখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম মজুদ আছে।

পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই বাড়িতে বোমা বিশেষজ্ঞ দল ও রোবট পাঠিয়ে পর্যবেক্ষণ করে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

মনিরুল জানান, এর আগে রাজধানীতে পাঁচটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যেসব বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া গেছে এ অভিযানে একই আলামত মিলেছে। বাড়িতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, সোয়াত ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম এখনো পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বের হয়ে আসার পর অভিযান সমাপ্ত হলে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াত সদস্যরা। রোববার মধ্যরাত থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে বলে গণমাধ্যমকে সকালে নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আসলাম হোসেন।

পরে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, এলাকার তক্কার মাঠ এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে জয়নাল আবেদীনের একটি টিনশেড বাড়ি ঘিরে রাখে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে জেলা পুলিশের সদস্যরাও সহযোগিতা করছে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা জানান ওই বাড়িটি থেকে এখন পর্যন্ত তিন জনকে আটক করে তাদের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

আটকরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে আহসান উল্লাহ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ফরিদ উদ্দিন রুমি, কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জামাল উদ্দিন রফিক ও রুমির স্ত্রী একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জান্নাতুল ফুয়ারা অনু।

বাড়িটিতে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য বা এক্সক্লুসিভ জাতীয় কিছু থাকতে পারে এ সন্দেহে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়। পরে বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে এসে রোবট প্রবেশ করিয়ে তাদের কাজ শুরু করে।

এদিকে দুপুর ১২ টা ৫৮ মিনিটে ওই বাড়ি থেকে একটি বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এরপর দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে আরো একটি বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বোমা বিশেষজ্ঞ দল ওই বাড়ির ভেতরে থাকা বোমা নিষ্ক্রিয় করেছে।