ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,শাহজাদপুর উপজেলা (সিরাজগঞ্জ),০৯ সেপ্টেম্বর : ঘুষের টাকা নেয়ার ভিডিও ভাইরালসহ বিভিন্ন অভিযোগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার আলোচিত সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্তের (সাসপেন্ড) সুপারিশ করেছে গঠিত তদন্ত কমিটি।
অন্যরা হলেন- উক্ত অফিসের মহরার আবদুস সালাম, নকলনবিশ সুমন আহম্মেদ ও দৈনিক মজুরি চুক্তির উমেদার (অফিস সহায়ক) আনিছুর রহমান। জমিদাতা ও দলিল গ্রহীতাদের সমস্যায় ফেলে অবাধে ঘুষ বাণিজ্য, দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধিতে সহায়তা, জমির প্রকৃত মূল্য কম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি, অসাধু দলিল লেখকের সঙ্গে ঘুষের টাকা ভাগবাটোয়ারা, ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি ছাড়া দলিল সম্পাদন বন্ধ রেখে সরকারি অফিসে সংবাদ সম্মেলন ও সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা ও প্রমাণ পাওয়ায় সাময়িক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। ঘুষের টাকা গুনে গুনে নেয়ার ভিডিও ভাইরাল, ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ এবং গণমাধ্যমে এসবের সংবাদ দেখে জেলা রেজিস্ট্রার গত ২৮ আগস্ট এর তদন্ত শুরু করেন।
গত আট কর্মদিবসের তদন্তে সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসসহ কর্মচারীরা অভিযুক্ত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে জেলা রেজিস্ট্রার এ ধরনের সুপারিশ করেন। সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন রোববার ঢাকায় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রার (আইজিআর) কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম মঞ্জুরুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাসসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে আইজিআর কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে। আইজিআর কার্যালয়ে সোমবার সশরীরে আমাকেও হাজির হতে বলা হয়েছে। হয়তো চূড়ান্ত কোনো নির্দেশনাও দেয়া হতে পারে।এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন আইজিআর কার্যালয়ে প্রেরণের গোপন খবর পেয়ে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় শাস্তি ঠেকাতে সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস কৌশলে ছুটির জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। গত ১৫ আগস্ট ঘুষ গ্রহণের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাস গত ১ সেপ্টেম্বর অফিস সময়ে ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি ছাড়াই নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তবে শাহজাদপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার দাশ বলেন, এ অফিস থেকে অবৈধ সুবিধাবঞ্চিত কিছু দলিল লেখক আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছে।