মুসলিম উম্মাহ তথা সারা বিশ্বের মানুষের শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার একাংশ শেষ হয়েছে।
সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও কালিসীমা গ্রামের চৌদ্দ মৌজা ঈদগাহ মাঠে তিন দিনব্যাপী এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতে দেশি-বিদেশি কয়েক লাখ মুসল্লি অংশ নেন। মোনাজাত পরিচালনা কাকরাইল জামে মজসিদের ইমাম হযরত মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন হওয়ায় আয়োজকদের পাশাপাশি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিবছর এই ইজতেমা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন মুসল্লিরা।
ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশ এলাকায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ইজতেমা সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। পুরো ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশ এলাকায় ১০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ শেষে আম বয়ানের মধ্যদিয়ে জেলা ইজতেমা কমিটির উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরবর্তী সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও কালিসীমা গ্রামের চৌদ্দ মৌজা ঈদগাহ মাঠে শুরু হয় তিন দিনব্যাপী টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার একাংশ।
ইজতেমায় আগত দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি, ওজুখানা ও টয়লেটসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়।