ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,২০ আগস্ট : নতুন ওষুধে মশক নিধনে ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক পরিছন্ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ দাবি করেন।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এ পরিছন্নতা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।মেয়র বলেন, আপনারা জানেন ডিএসসিসি গত জুলাই মাস থেকে প্রতিটি বাসায় গিয়ে এডিস মশার উৎপত্তি ধ্বংস করার জন্য ওষুধ ছিটাচ্ছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচির আওতায় ৫৮ হাজার ৭৪৭টি বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কমবেশি ১২শ বাসায় এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এর মধ্যে আমাদের স্কাউটের একটি টিম রয়েছে, ডিএসসিসি এলাকায় তাদের সূত্রমতে কমবেশি এক লাখ বাসায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে। বর্তমানে আমাদের প্রতিটি নাগরিক সচেতন তাদের বাসা, অফিস ও কর্মস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে তারা মনোযোগী।ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নগরবাসীর সচেতনতা এই দুইয়ের সমন্বয়ে ডিএসসিসি এলাকায় আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছি। আপনারা যদি আমাকে অবস্থা মূল্যায়ন করতে বলেন, তাহলে বলবো বিগত কয়েক মাসের তুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে। এ ছাড়া আশা করছি এডিস মসা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ কাজ করবে। এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, হাসপাতালের চারদিকের অবৈধ দোকান আমরা প্রায় কয়েক দিন পরপরই উচ্ছেদ করি। উচ্ছেদের এক ঘণ্টা পর ফের তারা ওই স্থানে বসে পড়ে। তিনি বলেন, আমাদের কিছু পুলিশ দিলে এর একটা সমাধান হতে পারে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রতিদিন সাড়ে ৪ হাজার রোগী ভর্তি থাকে। এ অবস্থায় এখানে নানান ধরনের আবর্জনার সৃষ্টি হয়। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হবে। পরিছন্নতা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর জাহিদ হোসেন, নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল, সাধারণ সম্পাদক মতিন আবদুল্লাহ প্রমুখ।