ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,টুঙ্গিপাড়া প্রতিনিধি,১৫ আগস্ট : জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এর পরপরই তিনি সমাধি বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী সমাধি বেদীর পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।এর পর ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন শেখ হাসিনা। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারাও অংশ নিচ্ছেন জাতীয় শোক দিবসের এ কর্মসূচিতে। প্রতিবারের মতো প্রধানমন্ত্রী দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ছাড়ার পর সমাধিপ্রাঙ্গণ সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। সর্বস্তরের মানুষ এর পর বঙ্গবন্ধুর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।পুরো জেলায় নেওয়া হয়েছে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।সমাধিসৌধের মূল স্তম্ভ, বঙ্গবন্ধু ভবন, মুক্তমঞ্চ, সংগ্রহশালা, মসজিদ, বকুলতলা চত্বর এলাকায় শোভাবর্ধন করা হয়েছে।শোকের আবহ সৃষ্টি করতে ঢাকা থেকে আসার পথে গোপালগঞ্জের প্রবেশদ্বার মুকসুদপুর থেকে টুঙ্গিপাড়া জাতির পিতার সমাধিস্থল পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রাস্তায় কালো কাপড় দিয়ে বানানো হয়েছে শত শত তোরণ। রাস্তার পাশে টানানো হয়েছে কালো পতাকা।এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আমীর হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, মুহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও শেখ হেলাল উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।১৯৭৫ সালের এ দিনে সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট সরকারি ছুটির দিন। সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা কর্মসূচিতে দিনটি পালন করছে।