ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,খুলনা প্রতিনিধি,২৫ জুলাই : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে আওয়ামী লীগ যে অন্যায় করেছে তা দেশের জনগণ কোনো দিনও মেনে নেবে না। এর জন্য জনগণের কাছে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এমন দেশে বাস করছি যেখানে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। দিনে-দুপুরে আদালতের মধ্যেই কুপিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধেই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আর এ সবই হচ্ছে সরকারের মদদে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছে। সব মিলিয়ে দেশে আজ ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার দেশবিরোধী বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রিয়া সাহার বক্তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সেই সুযোগে তিনি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তার বক্তব্যই না-কি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। দেশবাসী জানতে চায়, আসলেই এটা প্রিয়া সাহার বক্তব্য না-কি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার যে বাজেট ঘোষণা করেছে তা গরিব মারার বাজেট। এই বাজেটে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে গরীবকে আরও গরিব করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। খুলনার পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশনসহ অন্যান্য দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই, মসিউর রহমান, সৈয়দ মেহেদী আহামেদ রুমী, কবির মুরাদ, যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান খান বাবু, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, সহ-ধর্ম সম্পাদক অমলিন্দু অপু, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান।