রোহিঙ্গা নির্যাতনের তদন্ত ও বিচারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আইসিসি

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১৯ জুলাই : রোহিঙ্গা নির্যাতন তদন্ত ও বিচারে আইসিসি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) ডেপুটি প্রসিকিউটর জেমস স্টুয়ার্ট। তিনি বলেছেন, এই বিচার প্রক্রিয়ায় আইসিসির কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেই বলেও জানান তিনি।বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জেমস স্টুয়ার্ট বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনের তদন্ত ও বিচারের লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এই লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। পররাষ্ট্র, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছিলেন।আইসিসির ডেপুটি প্রসিকিউটর বলেন, আইসিসি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের আইনগতভাবে বিচার করে থাকে। এই বিচার প্রক্রিয়ায় আইসিসির কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেই। যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকেই আমরা কাজ করে থাকি।এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মিয়ানমার আইসিসির সদস্য নয়। তবে বাংলাদেশ আইসিসির সদস্য। মিয়ানমার সদস্য না হলেও এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব।রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিচার ও তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে আইসিসি কোনো চুক্তি করবে কি-না- এমন প্রশ্নের উত্তরে জেমস স্টুয়ার্ট বলেন, এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বিচারের জন্য বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই আইসিসি এমন চুক্তি করে থাকে।তিনি বলেন, অক্টোবর শেষ হওয়ার পরপরই আমরা তদন্ত শুরুর অনুমতি চেয়েছি। যদি আমাদেরকে প্রি-ট্রায়াল চেম্বার অনুমতি দেয় তবে অতি দ্রুত আমাদের তদন্ত শুরু করতে পারবো।রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গত ১৬ জুলাই জেমস স্টুয়ার্টসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে।আইসিসি প্রতিনিধি দল এর আগে চলতি বছরের মার্চে ঢাকায় এসেছিল। সে সময়ও প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী এলাকা পরিদর্শন করে। এবার দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় এসেছে দলটি। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত ও বিচারের লক্ষ্যে নেদারল্যান্ডসের আইসিসি কাজ করে চলেছে। যদিও মিয়ানমার আইসিসির সদস্য নয়। তবে আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সদস্য না হলেও রোহিঙ্গা নির্যতনের ঘটনা বিচারে কোনো সমস্যা হবে না।আইসিসির এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শুক্রবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন।